শিরোনাম
.jpg)
টাইগার যুবাদের আগুন বোলিংয়ে লজ্জায় জিম্বাবুয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনালে বাংলাদেশের জায়গা অনেকটাই নিশ্চিত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে আজ (১ আগস্ট) টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আজিজুল হক তামিম। ম্যাচের শুরুতেই এই সিদ্ধান্ত মোক্ষম প্রমাণ করেন টাইগার যুবা বোলাররা। বল হাতে এমন দাপট দেখান যে, মাত্র ২২.৩ ওভারে ৮৯ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
ম্যাচের শুরু থেকেই টাইগার পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে কুপাকওয়াশে মুরাদজির উইকেট নিয়ে ক্যাচ জিম্বাবুয়ে প্রথম ধাক্কা দেন বাংলাদেশের সানজিদ মজুমদার। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারী দল। দলীয় ৩৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় তারা, যখন আগ্রাসী ব্যাটিং করা নাথানিয়েল হাবাঙ্গানা (২৬ রান, ১৮ বল) মজুমদারের শিকারে পরিণত হন।
এরপর শুরু হয় ইকবাল হোসেন ইমনের বোলিং ঝড়। সপ্তম ওভারের শেষ দিকে লিরয় চিওয়ালাকে এলবিডব্লিউ আউট করে নিজের উইকেট শিকারের যাত্রা শুরু করেন ইমন। মাত্র ৬.৩ ওভারে ১ মেডেনসহ ২৭ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট, যার মধ্যে ছিল কিয়ান ব্লিগনট, মাইকেল ব্লিগনট ও ইনিংসের শেষ উইকেট শেল্টন মাজভিতোরেরার মূল্যবান উইকেট। প্রতিটি উইকেটেই ছিল নিয়ন্ত্রিত লাইন, অফস্টাম্পের বাইরের বল আর হঠাৎ করে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারির মিশ্রণ।
ইমনের এই দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের মিডল অর্ডার। এক প্রান্তে চেষ্টা করছিলেন ব্র্যান্ডন নদিওয়েনি, যিনি ৩৫ বল খেলে ২০ রান করেন। কিন্তু সঙ্গীর অভাবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনিও। শেষ দিকে একটু প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন তাতেন্দা চিমুগোরো, ২৩ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনিই। কিন্তু সেটাও ছিল পরিস্থিতির তুলনায় নিতান্তই নগণ্য।
বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে ইমন ছাড়া উল্লেখযোগ্য ছিলেন সানজিদ মজুমদার, যিনি ৭ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। রিজান হোসেন, মোহাম্মদ রাফি উজ্জামান ও স্বাধীন ইসলাম প্রত্যেকেই একটি করে উইকেট নেন। বিশেষভাবে প্রশংসার দাবিদার স্বাধীন, যিনি মাত্র ১ ওভার বল করেই ২টি উইকেট তুলে নেন মাত্র ১ রান খরচায়।
জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৯০ রান। এমন হালকা লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। রিফাত বেগ কোনও রান না করেই ফিরেছেন মাজভিতোরেরার বলে। এরপর কালাম সিদ্দিকি ঝড়ো শুরু করলেও (১৬ বলে ২০ রান), বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। তিনি কিয়ান ব্লিগনটের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।
তবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ঠিকই ধরে রাখেন অধিনায়ক আজিজুল হক তামিম। তিনি এখনও উইকেটে আছেন, ২৬ রান নিয়ে অপরাজিত। ৫০ রানের কোটা পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ, এবং মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে জয় থেকে আর মাত্র ৪০ রানের দূরত্বে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বলা যেতেই পারে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বাংলাদেশের জায়গা অনেকটাই নিশ্চিত।
আরও পড়ুন: