শিরোনাম
.jpg)
১২টি ওয়াইড বল দিয়ে অদ্ভুতুড়ে এক ওভার করলেন জন হেস্টিংস। ছবি: সংগৃহীত।
টি-টোয়েন্টিতে এক বোলার সর্বোচ্চ ৪ ওভার বল করতে পারেন। কিন্তু মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডস টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ওভার করতেই ১৮ বল লেগেছে সাবেক অজি পেসার জন হেস্টিংসের। তারপরেও ওভার শেষ করতে পারেননি। লেস্টারের গ্রেস রোডে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম অদ্ভুত এক ওভার প্রত্যক্ষ করল দর্শকরা। সহজ জয়ে পৌঁছানোর পথে পাকিস্তান ওপেনারদের সামনে বল হাতে আনেন জন হেস্টিংস। আর সেখানেই শুরু হয় নাটকীয়তা।
৩৯ বছর বয়সী হেস্টিংস ঐ ওভারে দেন ১২টি ওয়াইড বল ও একটি নো বল! সব মিলিয়ে ওভারটিতে নিয়মমাফিক মাত্র ৪টি বল করতে সক্ষম হন এই ডানহাতি পেসার। পাকিস্তান ইনিংসের অষ্টম ওভারে ক্যাপ্টেন ব্রেট লি’র দেওয়া সেই ওভারেই মিলে যায় জয়ের রান।
এর আগে, শন মার্শ ও ক্রিস লিনকে নিয়ে গড়া অস্ট্রেলিয়া দল মাত্র ১১.৫ ওভারে ৭৪ রানে গুটিয়ে যায়। পাকিস্তানের স্পিনার সাঈদ আজমল ১৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দেন অজিদের ব্যাটিং লাইনআপ।
পাকিস্তানের ইনিংস ছিল পুরোপুরি একতরফা। শুরু থেকেই ব্যাটে-বলে নিয়ন্ত্রণ রেখে খেলেন শরজিল খান ও সোহায়ব মাকসুদ। শরজিল ২৩ বলে ৩২ এবং মাকসুদ ২৬ বলে ২৮ রান করেন। ৭.৫ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান, যেখানে হেস্টিংসের ওভারটি কার্যত ম্যাচ শেষ করে দেয়।
ওই ওভারে প্রথমে টানা পাঁচটি ওয়াইড দেন হেস্টিংস। এরপর দুটি বৈধ ডেলিভারির পর একটি নো বল, আরও একটি ওয়াইড, একটি লেগ বাই, এরপর আবার একটি ওয়াইড ও দুটি বৈধ বল দেন তিনি। ওভারের শেষভাগে আরও পাঁচটি ওয়াইড দিয়ে ম্যাচ শেষ করেন। এমন দৃশ্য দেখে চমকে যান পাকিস্তানি ওপেনাররাও।
এক সময় অস্ট্রেলিয়ার ‘দ্য ডিউক’ খ্যাত এই ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি পেসার ২০১০ সালে ‘ব্র্যাডম্যান ইয়াং ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে ডারহামের হয়ে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেন এবং একই বছর বিগ ব্যাশে সবচেয়ে লম্বা ছক্কা হাঁকান। তবে ২০১৭ সালেই টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি।
এই জয়ে অপরাজিত থেকে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া প্লে-অফ নিশ্চিত করলেও এ ধরনের শোচনীয় পারফরম্যান্স আর একটিও সহ্য করার মতো অবস্থায় নেই তারা।
আরও পড়ুন: