শিরোনাম

ছবিতে সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ।
ক্রিকেট মাঠে বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচ নেওয়া কিংবা ছক্কা ঠেকাতে গিয়ে বহুবার চোখে পড়েছে চমৎকার সব ফিল্ডিং দৃশ্য। ফিল্ডাররা শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পেরে বল ওপরে ছুড়ে সীমানার বাইরে গিয়ে আবার বল স্পর্শ করে সীমানার ভেতরে এনে ক্যাচ নেন বা ছক্কা বাঁচান। এই দক্ষতা মুগ্ধ করলেও অনেকের চোখে এমন কৌশল ছিল অস্বাভাবিক। এবার এই বিতর্কিত কৌশলের ইতি ঘটাচ্ছে ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)।
তারা নতুন নিয়মে স্পষ্ট করেছে - বাউন্ডারির বাইরে লাফিয়ে একজন ফিল্ডার একবারের বেশি বল স্পর্শ করতে পারবেন না। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কেউ সীমানার বাইরে গিয়ে প্রথমবার বল স্পর্শ করতে পারবেন বটে, কিন্তু এরপর তাকে অবশ্যই সীমানার ভেতরে ঢুকে বল ধরতে হবে।
এই নিয়মের পেছনে আছে ২০২৩ সালের বিগ ব্যাশের এক আলোচিত মুহূর্ত। সিডনি সিক্সার্সের জর্ডান সিল্কের ক্যাচ নেন ব্রিসবেন হিটের মাইকেল নেসের, যিনি প্রথমে শূন্যে লাফিয়ে সীমানার বাইরে বল স্পর্শ করেন, পরে আবার সেটি শূন্যে পাঠিয়ে দৌড়ে ভেতরে ঢুকে ক্যাচটি সম্পূর্ণ করেন। যদিও নিয়ম অনুযায়ী সেই ক্যাচ বৈধ ছিল, তবে ক্রিকেট বিশ্বে এটি নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। এরপর আইসিসি ও এমসিসি যৌথভাবে বিষয়টি পর্যালোচনা করে নিয়ম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়। এমসিসি বলেছে, এমন ‘বানি হপড’ ক্যাচ, যেখানে সীমানার বাইরে একাধিকবার শূন্যে লাফিয়ে বল স্পর্শ করা হয়, এখন থেকে সম্পূর্ণ অবৈধ হবে।
নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, ফিল্ডার যদি সীমানার বাইরে গিয়ে বল স্পর্শ করেন, তবে তাকে ডেলিভারিটির বাকি অংশ সম্পন্ন করতে সীমানার ভেতরে ফিরতেই হবে। বল দ্বিতীয়বার স্পর্শ করার আগে তিনি অবশ্যই মাঠের ভেতরে থাকতে হবে। একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে রিলে ক্যাচেও। বাউন্ডারির বাইরে বল ছুঁয়ে ফেলে দেওয়া ফিল্ডার যদি সতীর্থকে বল দেন, তাহলে সেই সতীর্থের ক্যাচকেও বৈধতা পেতে হলে প্রথম ফিল্ডারকে মাঠে ফিরতেই হবে।
এই নিয়মটি প্রথমবার বাস্তবায়িত হবে আগামী ১৭ জুন গল টেস্টে, যেখানে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। এ ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে নতুন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র এবং আইসিসির নতুন প্লেয়িং কন্ডিশন। এরপর ২০২৫ সালের অক্টোবর থেকে এটি অন্তর্ভুক্ত হবে এমসিসির নিয়মবিধিতে। ক্রিকেটের এই গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম পরিবর্তন খেলাটির নান্দনিকতা ও ন্যায্যতা রক্ষা করতেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: