রাবাদা-স্মিথ-স্টার্কের দিনে লর্ডসে পেসারদের রাজত্ব, প্রথম দিনেই ১৪ উইকেট

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ জুন, ২০২৫ ০২:০৫

আপডেট: ১২ জুন, ২০২৫ ১৩:৪৭

শেয়ার

রাবাদা-স্মিথ-স্টার্কের দিনে লর্ডসে পেসারদের রাজত্ব, প্রথম দিনেই ১৪ উইকেট
লর্ডসে বোলারদের দিনে দারুণ বোলিংয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। ছবি: রয়টার্স

লর্ডসের আকাশে মেঘ, উইকেটেও ছিল সহায়তা। টস জিতে সেই সুবিধা কাজে লাগাতে পিছপা হননি দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। বল হাতে নিয়ে শুরুতেই বাজিমাত করেন কাগিসো রাবাদা ও মার্কো ইয়ানসেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগুন ঝরানো বোলিংয়ে দুই সেশনেই প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দেয় প্রোটিয়ারা। মাত্র ৫৬.৪ ওভারে ২১২ রানে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। রাবাদা নেন ৫১ রানে ৫ উইকেট, ইয়ানসেনের শিকার ৩ উইকেট। তবে দিনটা পুরোপুরি নিজেদের করে নিতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকাও। স্টার্ক, কামিন্স, হেইজেলউডের তোপে মাত্র ৪৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে প্রোটিয়ারা। প্রথম দিন শেষে ১৬৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিনে ব্যাট হাতে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রথম দিনেই দুই দলের পেসাররা মিলে তুলে নেন ১৪ উইকেট। এমন উত্তেজনায় ভরপুর দিনে সবচেয়ে আলো ছড়িয়েছেন রাবাদা। লর্ডসে এটি তার দ্বিতীয় পাঁচ উইকেট, আর ক্যারিয়ারে উইকেট সংখ্যা এখন ৩৩২—এতে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি অ্যালান ডোনাল্ডকে। বল হাতে দাপটের পর ব্যাট হাতেও বড় জবাব দেয়নি প্রোটিয়ারা। প্রথম ওভারে স্টার্ক ফিরিয়ে দেন মার্করামকে। এরপর রিকেলটন, মুল্ডার ও স্টাবসকে দ্রুত ফিরিয়ে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পেসাররাও জানান দেন সমান উপস্থিতির। শেষদিকে অধিনায়ক বাভুমা ও ডেভিড বেডিংহ্যাম উইকেট আগলে রেখে দিন শেষ করেন।

এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন স্টিভ স্মিথ ও বাউ ওয়েবস্টার। স্মিথ ৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে লর্ডসে সফরকারী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান (৫৯১) ও সর্বোচ্চ ফিফটির (১৮টি) রেকর্ড গড়েন। ওয়েবস্টার করেন ৭২ রান, ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। তবে শেষ সেশনে মাত্র ২২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে যায়। ক্যারি রিভার্স সুইপে বোল্ড হন, এরপর ওয়েবস্টার রাবাদার বলে স্লিপে ধরা পড়েন। ইনিংসের শেষ বলেই স্টার্ককে বোল্ড করে নিজের পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন রাবাদা।

ম্যাচের শুরুতেই উসমান খাওয়াজা খেলেন ২০ বল, কিন্তু রানের খাতা খোলার আগেই রাবাদার বলে স্লিপে ধরা পড়েন। এটি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারদের মধ্যে তৃতীয় দীর্ঘতম শূন্য রানে আউট হওয়ার নজির। লাবুশেন, গ্রিন, হেড কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। দ্বিতীয় সেশনে স্মিথ-ওয়েবস্টার পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করলেও শেষ সেশনে তা ভেস্তে যায়। একইভাবে দক্ষিণ আফ্রিকাও ব্যাট হাতে অস্থিরতা দেখায়। ফলে ঐতিহাসিক লর্ডসে প্রথম দিনেই দেখা যায় একপেশে না হয়ে দারুণ সমান লড়াই। ম্যাচ এখনও খোলা, কিন্তু দুই দলের পেস আক্রমণ যেভাবে আধিপত্য করছে, তাতে দ্বিতীয় দিনেও উইকেটের ঝরাই হয়তো নিয়তি।