শিরোনাম

বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে সবুজ দলকে হারাল অনূর্ধ্ব-১৫ ছেলেরা। ছবি: সংগৃহীত।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শুক্রবার (২২ আগস্ট) বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে উইমেন্স চ্যালেঞ্জ কাপ ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপে ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৫ দলের কাছে ৪১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ নারী দলের সবুজ শাখা। বৃষ্টি আইনে ১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সবুজ দলের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৩৫ রানে।
আগামী বছরের সেপ্টেম্বর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে বসবে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। বিশ্বকাপের আগে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ না থাকায় প্রস্তুতির বিকল্প হিসেবেই এই বিশেষ টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে বিসিবি। নারী জাতীয় দলকে দুই ভাগে ভাগ করে (লাল ও সবুজ) তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে অনূর্ধ্ব-১৫ ছেলেরা। প্রতিটি দল একে অপরের সঙ্গে দু’বার করে মুখোমুখি হবে। তবে এখন পর্যন্ত ছেলেদের দাপটেই এগোচ্ছে প্রতিযোগিতা। গত বুধবার (২০ আগস্ট) লাল দল হেরেছিল ৮৭ রানে, আজ (২২ আগস্ট) হারল সবুজ দলও।
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৫ দল ৩৯ ওভারে তোলে ৭ উইকেটে ১৮৯ রান। দলের হয়ে সবচেয়ে বড় ইনিংস খেলেছেন ওম, ৯৯ বলে করেন ৮২ রান। তার ব্যাটে ভর করেই দল গড়ে বড় পুঁজি। এছাড়া ইরফান ৬৮ বলে ৪৮ এবং বায়োজিদ ২৩ বলে অপরাজিত ২১ রান করেন। নারী সবুজ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন রাবেয়া খান (৩৩ রানে ৪), সুলতানা পান ২টি।
বৃষ্টিতে খেলা ব্যাহত হওয়ার পর ডাকওয়ার্থ-লুইস আইনে নারী সবুজ দলের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭৭ রান। কিন্তু রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে তারা। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে মাত্র ১৩ রানে প্রথম জুটি ভাঙে। শারমিন আক্তার সুপ্তা (১) ফেরেন মাহিন হোসেন আলিফের বলে। তিনে নেমে দিলারাকে সঙ্গে নিয়ে ঝিলিক কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও বেশিদূর এগোয়নি সেই জুটি। লিডিং এজে আউট হন দিলারা (৬), তখন দলের সংগ্রহ মাত্র ২৯।
এরপর ঝিলিক ও সোবহানা মিলে গড়েন ৭৬ রানের দুর্দান্ত জুটি। কিন্তু সোবহানার ধীরগতির ব্যাটিং চাপ বাড়িয়ে তোলে। ৫৬ বলে ৩৫ রান করে তিনি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। স্বর্ণা আক্তারও (১০) দ্রুত আউট হন। এদিকে এক প্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন ঝিলিক। ৫৮ বলে দারুণ এক হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। তবে এরপর আর এগোতে পারেননি। আদিবের বলে রান আউট হয়ে থামেন ৫১ রানে।
শেষদিকে অধিনায়ক নাহিদা আক্তার ও ইরা দলকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও সেভাবে অবদান রাখতে পারেননি। ফলে ৩০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৫ রানে থেমে যায় নারী সবুজ দলের ইনিংস। ছেলেদের হয়ে মাহিন, আদিব ও আব্দুল্লাহ পান ২টি করে উইকেট।
আরও পড়ুন: