শিরোনাম

বাফুফের শনিবারের সভার ভেন্যু চূড়ান্ত। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাহী সভাগুলো সাধারণত ফেডারেশন ভবনের বোর্ডরুমেই হয়ে থাকে। কিন্তু চতুর্থ নির্বাহী সভা এবার ব্যতিক্রমী রূপ পাচ্ছে। আগামীকাল (২২ আগস্ট) এ সভা অনুষ্ঠিত হবে পূর্বাচলের একটি রিসোর্টে ডুমনি দি মেড ফার্মে।
সভাটির ভেন্যু নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল কয়েক দিন। আলোচ্যসূচি নির্ধারণ হয়ে গেলেও কোথায় বৈঠক বসবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসছিল না। শেষ পর্যন্ত গতকাল বাফুফের সাধারণ সম্পাদক নির্বাহী কমিটির সদস্যদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, বোর্ডরুমে নয়, বরং রিসোর্টেই বসছে এবারের সভা।
এর আগে বাফুফের তিনটি নির্বাহী সভা আয়োজন করা হয়েছিল ফেডারেশন ভবনে। আরেকটি জরুরি সভা হয়েছিল রাজধানীর ফর্টিজ জলসিড়িতে। সেটি ছিল মূলত এশিয়ান ফুটসাল বাছাইয়ে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অনুমোদন ও একই দিনে অনুষ্ঠিত আন্তঃস্কুল টুর্নামেন্টের ফাইনালের কারণে।
কিন্তু এবার ভেন্যু বাছাইয়ের বিষয়টি ভিন্ন প্রশ্ন তুলছে। কারণ, পূর্বাচলের সেই রিসোর্ট মূলত অবকাশ যাপনের স্থান, যেখানে ফুটবল সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রমও নেই শনিবারের দিনটিতে। ফলে সভার মতো গুরুতর কর্মসূচি সেখানে আয়োজন করাকে অনেকে বিলাসিতা বলেই মন্তব্য করছেন।
নির্বাহী সভা বাফুফের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে নানা প্রস্তাব, ফাইল ও নীতিগত সিদ্ধান্ত ওঠে আসে। স্বাভাবিকভাবেই ফেডারেশন ভবনের বোর্ডরুমই এ ধরনের বৈঠকের জন্য উপযুক্ত জায়গা। এবারও আলোচ্যসূচি রয়েছে দশটির বেশি। তবু শেষ পর্যন্ত রিসোর্টই চূড়ান্ত ভেন্যু।
ফেডারেশনের ভেতর থেকেও অনেক নির্বাহী কর্মকর্তা সভা ফেডারেশন ভবনেই আয়োজন করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে ভিন্নভাবে। এতে ফুটবলাঙ্গনের অনেকেই কটাক্ষ করে বলছেন, কর্মকর্তারা এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন যে, ফেডারেশন ভবনের বদলে নিজেদের সুবিধাজনক স্থান বা ব্যক্তিগত অফিসকেই সভার ভেন্যু হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।
সাধারণত বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) বড় আয়োজন হয়, যেখানে কয়েক শ প্রতিনিধি অংশ নেন। এজন্য হোটেল বা রিসোর্ট ব্যবহার করাটা স্বাভাবিক। কিন্তু মাত্র ২১ সদস্যের নির্বাহী কমিটির বৈঠক এমন জায়গায় আয়োজন করাকে অনেকেই বাড়তি আড়ম্বর হিসেবেই দেখছেন।
আরও পড়ুন: