বসুন্ধরা কিংসের অবস্থান বাস্তবসম্মত ও যৌক্তিক: মারুফুল হক

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট, ২০২৫ ২০:৩৩

আপডেট: ১৯ আগস্ট, ২০২৫ ২০:৩৫

শেয়ার

বসুন্ধরা কিংসের অবস্থান বাস্তবসম্মত ও যৌক্তিক: মারুফুল হক
বসুন্ধরা কিংসের অবস্থানকে যৌক্তিক বললেন মারুফুল হক। ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশ ফুটবলের চিরচেনা টানাপোড়েন আবারও সামনে এসেছে জাতীয় দলের ক্যাম্প ঘিরে। সেপ্টেম্বরে নেপালে দুটি প্রীতি ম্যাচকে কেন্দ্র করে ১৩ আগস্ট শুরু হয়েছে ক্যাম্প। কিন্তু শুরুতেই অনুশীলন মাঠে নেমেছে মাত্র ১২ জন ফুটবলার নিয়ে, কারণ বসুন্ধরা কিংস তাদের খেলোয়াড় ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আর এই সিদ্ধান্তকে দেশের একমাত্র উয়েফা 'এ' লাইসেন্সধারী কোচ ও আবাহনীর দায়িত্বে থাকা একেএম মারুফুল হক যৌক্তিক বলেই মনে করছেন।

 

মারুফুল হকের যুক্তি সরল প্রীতি ম্যাচের জন্য এক মাসব্যাপী জাতীয় ক্যাম্প কোনোভাবেই প্রয়োজনীয় নয়। তার ভাষায়, “অফিসিয়াল টুর্নামেন্ট হলে অবশ্যই ক্লাবগুলো বাধ্য হয়ে খেলোয়াড় ছাড়তে হতো। কিন্তু দুটো প্রীতি ম্যাচের জন্য এতটা লম্বা অনুশীলনের যৌক্তিকতা নেই।” বরং তিনি মনে করেন, এই সময়ে খেলোয়াড়দের জন্য ক্লাব পর্যায়ের প্রাক-মৌসুম কন্ডিশনিংই সবচেয়ে জরুরি। কন্ডিশনিং ছাড়া মৌসুমে টিকে থাকা কঠিন, বাড়ে ইনজুরির ঝুঁকিও।

 

আবাহনী কিন্তু ইতিমধ্যেই জাতীয় ও অনূর্ধ্ব–২৩ মিলিয়ে দশজন খেলোয়াড় দিয়েছে। ফলে তাদের ক্লাব অনুশীলন কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে মারুফ বলেন, “ক্লাব যদি আমার মতামত চাইত, আমি পরিষ্কার বলতাম খেলোয়াড়দের জাতীয় ক্যাম্পের চেয়ে ক্লাব কন্ডিশনিং বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আগস্টজুড়ে জাতীয় দলে কাটিয়ে সেপ্টেম্বর থেকে লিগ খেলতে নামলে, মৌসুমের মাঝেই ফিটনেস সমস্যা কিংবা ইনজুরি অবধারিত।”

 

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা এই অনিশ্চয়তায় শুরুতে মাত্র ১২ জন খেলোয়াড় নিয়ে কাজ শুরু করেন। ফেডারেশন জরুরি সভা করে কিংসকে খেলোয়াড় ছাড়ার অনুরোধ জানালেও তাতে সাড়া মেলেনি। মারুফের মতে, এ অবস্থায় আগস্টের ক্যাম্প স্থগিত করে সেপ্টেম্বরে নতুন করে শুরু করলে ক্লাব, জাতীয় দল এবং খেলোয়াড় তিন পক্ষই স্বস্তি পেত।

 

ক্লাব ও জাতীয় দলের দ্বন্দ্বকে আরও প্রকট করেছে বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসানের বহুমুখী ভূমিকা। তিনি একদিকে জাতীয় দল কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান, অন্যদিকে লিগ কমিটির চেয়ারম্যান। ক্লাব স্বার্থ ও জাতীয় দলের পরিকল্পনা একই সঙ্গে সামলানোর চেষ্টাই ফুটবলাঙ্গনে নতুন করে স্বার্থসংঘাতের প্রশ্ন তুলেছে। দলবদল, মৌসুম শুরুর তারিখ ও জাতীয় দলের ক্যাম্প কোনোটিই একে অপরের সঙ্গে সমন্বিত নয়, ফলে ফুটবলের ভেতরকার অস্থিরতা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।