শিরোনাম

প্রস্তুতির মঞ্চে বাংলাদেশ যুবাদের নতুন অভিজ্ঞতা। ছবি: সংগৃহীত।
বাহরাইনের উষ্ণ আবহে ক্লোজ-ডোর ম্যাচে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল। লক্ষ্য ছিল একটাই যতটা সম্ভব নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়া এবং ভুল-ত্রুটি চিহ্নিত করা। সোমবারের (১৮ আগস্ট) ম্যাচে কোচ সাইফুল বারী টিটু পুরো স্কোয়াডের প্রায় সবাইকে মাঠে নামান, যেন প্রতিটি খেলোয়াড়কে কাছ থেকে দেখা যায়। ফলাফল হিসেবে বাংলাদেশকে ১-০ গোলের পরাজয় বরণ করতে হলেও সেটিকে গুরুত্ব দেননি কেউই।
কারণ এ ধরনের প্রস্তুতি ম্যাচের মূল উদ্দেশ্য জয় নয়, বরং শিক্ষা। খেলোয়াড়রা ম্যাচের ভেতর থেকে কী শিখলেন, পরের ম্যাচে কীভাবে আরও ভালো করবেন, সেটিই ছিল অগ্রাধিকার। খেলা শেষে ফরোয়ার্ড মিরাজুল ইসলাম এবং সহকারী কোচ হাসান আল মামুন সেই বিষয়গুলোই তুলে ধরেছেন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পাঠানো ভিডিও বার্তায় মিরাজুলের কণ্ঠে শোনা গেল আত্মবিশ্বাসের সুর। তিনি বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, সবাই খেলেছে এবং ভালো খেলেছে। কিছু ভুল ছিল, তবে সেগুলো ঠিক করে নেবো পরের ম্যাচে। কোচও বলেছে এটা ছিল ভালো প্রস্তুতি ম্যাচ।” একই সুর শোনা গেল সহকারী কোচ মামুনের কণ্ঠেও। তার মতে, এই ম্যাচের আসল উদ্দেশ্য ছিল পুরো দলকে দেখা। ফলে সবাইকে সুযোগ দেওয়াই ছিল পরিকল্পনা।
ভিয়েতনামে আসন্ন অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের জন্যই এই কঠিন প্রস্তুতি। দেশ ছাড়ার আগে কোচ টিটু জানিয়েছিলেন, এ টুর্নামেন্টকে ঘিরেই দলের সব পরিকল্পনা। মেয়েদের দল যখন এশিয়ান কাপে নিজেদের চ্যালেঞ্জ সামলাচ্ছে, তখন ছেলেদের অনূর্ধ্ব-২৩ দলও চাইছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে। সেই প্রস্তুতিরই অংশ বাহরাইনের এই দুটি ম্যাচ মিরাজুলও একই আশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি মনে করেন, “ভিয়েতনামে আমাদের একটা স্পষ্ট লক্ষ্য আছে। সেটি পূরণ করতে এখান থেকে সেরা প্রস্তুতি নিয়ে যেতে চাই।” সহকারী কোচ মামুনের মতে, ছেলেরা মাঠে সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, “প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ হিসেবেই ভালো ছিল। ছেলেরা শতভাগ চেষ্টা করেছে, এটা আমাদের আশাবাদী করছে।”
এদিকে ঢাকায়ও চলছে জাতীয় দলের প্রস্তুতি। নেপালের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে ক্যাম্পে ব্যস্ত আছেন জামাল ভূঁইয়ারা। সোমবার বাংলাদেশ পুলিশ এএফসির বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে জাতীয় দল। ১৪ জন খেলোয়াড় নিয়ে গড়া স্কোয়াড সেই ম্যাচে জয় না পেলেও ড্র করেছে।
আরও পড়ুন: