শিরোনাম

গঠনতন্ত্র সংস্কারের পথে নতুন উদ্যোগ নেবে বাফুফে। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) চতুর্থ নির্বাহী কমিটির সভা আগামী শনিবার (২৩ আগস্ট) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এই সভা, যেখানে আলোচনার জন্য রাখা হয়েছে মোট ১১টি আলোচ্যসূচি। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উঠে আসবে গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রস্তাব।
গত বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তাবিথ আউয়াল গঠনতন্ত্র সংস্কারকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় নভেম্বর মাসে গঠিত হয় একটি তিন সদস্যের কমিটি, যাদের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল তিন মাস। ফিফার সঙ্গে পরামর্শ করেই তারা নতুন খসড়া গঠনতন্ত্র তৈরি করেছে। সেটি এবার নির্বাহী সভায় উপস্থাপিত হবে। সভার আলোচনার পর অনুমোদন মিললে তা যাবে বার্ষিক সাধারণ সভায়, যেখানে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়বে।
দেশের অন্য শীর্ষ ক্রীড়া সংগঠনগুলোতেও গঠনতন্ত্র সংস্কারের চেষ্টা হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সংস্কার উদ্যোগ নিলেও ক্লাব ক্রিকেট সংগঠকদের বিরোধিতায় তা আর এগোয়নি। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন অবশ্য অনেকটা কাজ শেষ করে এখন শুধু আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সাধারণ সভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এদিকে, বাফুফের উদ্যোগ কত দ্রুত অগ্রসর হয় সেটিই এখন দেখার বিষয়।
গঠনতন্ত্র ছাড়াও এ সভায় আলোচনায় থাকবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। দীর্ঘ দশ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও রেফারিজ কমিটি গঠন হয়নি। মার্চে অনুষ্ঠিত নির্বাহী সভায় বিষয়টি উঠলেও সিদ্ধান্ত হয়নি। এবার আবারও আলোচ্যসূচিতে রাখা হয়েছে।
আর্থিক স্বচ্ছতাও আলোচনার বড় অংশ জুড়ে থাকবে। সম্প্রতি ঢাকায় ভুটান ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ আয়োজন করে বাফুফে। সেই ম্যাচগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাব সভায় তোলা হবে। একইসঙ্গে ২০২৪ সালের অডিট রিপোর্টও অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ইতোমধ্যে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের জন্য ৫ কোটি টাকা দিয়েছে, সামনে আরও ৫ কোটি দেওয়ার কথা রয়েছে। অতীতে সরকারি অর্থের সঠিক হিসাব দিতে না পারায় যে সমালোচনা হয়েছিল, সেটি কাটাতে এবার আলাদা ব্যাংক হিসাব খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে ফেডারেশন। তবে এই নতুন হিসাবের স্বাক্ষর কর্তৃপক্ষ হবেন মূল অ্যাকাউন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাই সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী ও সাধারণ সম্পাদক।
এ ছাড়া ফিফা ফরোয়ার্ড ৩.০ প্রকল্পে সিএও সংযোজন, প্রকিউরমেন্ট নীতিমালা ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা হবে। সভা আহ্বান সংক্রান্ত চিঠি এরই মধ্যে নির্বাহী সদস্যদের কাছে পৌঁছেছে। এবার প্রথমবারের মতো সভাপতির নির্দেশে আলোচ্যসূচি নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এসেছে। সদস্যদের বলা হয়েছে চাইলে ২০ আগস্টের মধ্যে নিজেরা আলোচনার জন্য প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন।
তবে সভাস্থল নিয়ে এখনও দ্বিধা আছে। অতীতে জলসিড়িতে অনুষ্ঠিত জরুরি সভা ঘিরে কিছু সদস্যের আপত্তি ছিল। ফলে এবার অধিকাংশ সদস্য চাইছেন, সভাটি হোক ফেডারেশনের নিজস্ব কার্যালয়েই।
আরও পড়ুন: