শিরোনাম
.jpg)
জাতীয় দলের খেলোয়াড় না ছাড়ায় বিতর্কে বসুন্ধরা কিংস। ছবিঃ সংগৃহীত।
বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বসুন্ধরা কিংস। ইংল্যান্ড প্রবাসী কিউবা মিচেলের মতো এবার সিনিয়র জাতীয় দলের ডাক পাওয়া ১০ জন ফুটবলারের কাউকেই ছাড়েনি দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্লাবটি। শুক্রবার বাফুফের সাধারণ সম্পাদককে পাঠানো এক চিঠিতে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিক জানান, প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি, দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণবিহীন থাকা এবং ইনজুরি ঝুঁকি কমানোর কারণেই খেলোয়াড় ছাড়তে পারছে না কিংস।
চিঠিতে ইনজুরি প্রসঙ্গে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয় গত বছরের বিশ্বনাথ ঘোষের ঘটনা। তাদের দাবি, আগাম মৌসুমের প্রস্তুতি ও খেলোয়াড়দের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই এখন অগ্রাধিকার। তবে বিষয়টি অনেকের কাছে অস্বস্তিকর ও প্রশ্নবিদ্ধ লেগেছে, কারণ জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হওয়ার দিনেই এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে ক্লাব সভাপতি ইমরুল হাসানের অবস্থান নিয়ে। তিনি শুধু বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি নন, জাতীয় দল কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান এবং পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যানও। অথচ নিজের ক্লাবের স্বার্থে জাতীয় দলের প্রয়োজন উপেক্ষা করায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
ফিফার নিয়ম অনুসারে, ফিফা উইন্ডোর ৭২ ঘণ্টা আগে ক্লাব বাধ্যতামূলকভাবে খেলোয়াড় ছাড়তে হবে। কিংস সেই নিয়মের অপব্যবহার না করলেও, বাংলাদেশি ফুটবলের প্রেক্ষাপটে শেষ মুহূর্তে খেলোয়াড় না ছাড়াকে অনেকে ‘অসৌজন্যতা’ হিসেবে দেখছেন।
অবাক করা বিষয়, একই সময়ে বাহরাইনে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের জন্য জনি, রিমন ও শ্রাবণকে ছাড়তে কোনো আপত্তি করেনি কিংস। এর মধ্যে শ্রাবণ কিন্তু বর্তমানে দলের প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক। ফলে ‘ইনজুরি এড়ানোর’ যুক্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
নেপালে প্রীতি ম্যাচের জন্য ডাক পাওয়া কিংসের ফুটবলাররা হলেন তপু বর্মণ, সাদ উদ্দিন, তারিক কাজী, হৃদয়, সোহেল রানা, মো. সোহেল রানা, শাহরিয়ার ইমন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও রাকিব হোসেন। ঢাকা আবাহনী, যাদের ৫ জন খেলোয়াড় জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন, কোনো আপত্তি ছাড়াই তাদের ছাড়ছে। তাই ফুটবলপ্রেমীরা জিজ্ঞাসা তুলেছেন অন্য ক্লাব পারলেও বসুন্ধরা কিংস কেন পারছে না?
এ বিষয়ে কিংসের ম্যানেজার ওয়াসিমুজ্জামান, সভাপতি ইমরুল হাসানসহ কোনো কর্মকর্তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ফুটবল মহলে ধারণা, এই ঘটনা শুধু জাতীয় দলের প্রস্তুতিকে ব্যাহত করবে না, বরং লিগ কমিটি ও ফেডারেশনের সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়াতেও আস্থার সংকট আরও গভীর করবে।
আরও পড়ুন: