টানা পাঁচে পাঁচ, চ্যাম্পিয়নের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী দল

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯ জুলাই, ২০২৫ ২৩:২৯

আপডেট: ১৯ জুলাই, ২০২৫ ২৩:৩০

শেয়ার

টানা পাঁচে পাঁচ, চ্যাম্পিয়নের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী দল
পাঁচ পাঁচবার এমন গোল–উৎসব করেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। ছবি: সংগৃহীত।

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার পাশের অনুশীলন মাঠে শনিবার ফের দারুণ জয় তুলে নিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল। সাফ উইমেন’স অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে হারিয়ে শিরোপার দৌড়ে আরও একধাপ এগিয়ে গেল মেয়েরা। আগের দেখায় লঙ্কানদের ৯-১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করার পর এবারও ছিল একই আধিপত্য, যদিও গোলের সংখ্যা কিছুটা কম।


ম্যাচের শুরুতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিল শ্রীলঙ্কা। তবে ২৪তম মিনিটে গোলরক্ষকের বিপরীতে নিচু শটে জাল খুঁজে নিয়ে দলকে এগিয়ে দেন কানন রানী। এরপর ৩৮তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে সুরমা জান্নাতের শট লাগে ক্রসবারে। খানিক বাদে তৃষ্ণা রানীর শট পোস্টে প্রতিহত হলে ফিরতি বল ধরে দ্বিতীয় গোল করেন পুজা দাস।


দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধার ধরে রাখে বাংলাদেশ। ৭৩তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া পুজা দাসের শট গোলরক্ষকের গ্লাভস ছুঁয়ে জালে ঢোকে, ব্যবধান হয় ৩-০। এরপর গোলের তালিকায় নাম লেখান তৃষ্ণা রানী। সতীর্থের পাস ধরে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নিখুঁত শটে স্কোরলাইন করেন ৪-০।


যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে ম্যাচের পঞ্চম গোলটি করেন অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার প্রান্তি। যদিও তার প্রথম শটটি বাইরে চলে গিয়েছিল, তবে শ্রীলঙ্কার এক খেলোয়াড় বক্সে ঢুকে পড়ায় রেফারি আবার শট নেওয়ার নির্দেশ দেন। দ্বিতীয়বার আর ভুল করেননি অধিনায়ক।


এই জয়ে বাংলাদেশ পঞ্চম ম্যাচ শেষে পূর্ণ ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে নেপাল। সোমবার নেপালের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে ফাইনালের প্রতিপক্ষ। এখন পর্যন্ত অপরাজিত বাংলাদেশ যে ফাইনালের অন্যতম ফেবারিট, তা বলাই যায় নিঃসন্দেহে।


২১ জুলাই সোমবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল। সেই ম্যাচে ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন হবে স্বাগতিকেরা। তবে যদি হেরে যায়, তাহলে হেড টু হেড বা মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসাব আসবে বিবেচনায়। সেখানেও সমতা থাকলে দেখা হবে গোল পার্থক্যের হিসাব। প্রতিদ্বন্দ্বী নেপাল গোল পার্থক্যে বেশ এগিয়ে। আজ ভুটানকে ৮-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের গোলসংখ্যা নিয়ে গেছে ৩০-এ। ৪টি গোল খাওয়া দলটির গোল পার্থক্য ‍+২৬। 


আজকের শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে বাংলাদেশ ছিল নেপালের চেয়ে ১১ গোল পিছিয়ে। সেই ব্যবধান কমাতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছিল দল। বাংলাদেশের গোল পার্থক্য ‍ এখন +২০। অর্থাৎ ব্যবধানটা কমে এসেছে ৬–এ।