“টেনশন করছি না, যা কপালে আছে সেটাই হবে”

বাংলাদেশ কি এশিয়া কাপে সুপার ফোরে উঠবে? এর উত্তর এখন নির্ভর করছে শ্রীলঙ্কার হাতে। আবুধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লঙ্কানরা জয় পেলে সরাসরি শেষ চারে জায়গা হবে বাংলাদেশের। তবে শ্রীলঙ্কা হেরে গেলে সমীকরণ জটিল হয়ে যাবে, আসবে নেট রান রেটের জটিল হিসাব–নিকাশ।

স্বাভাবিকভাবেই এমন ম্যাচে বাংলাদেশি সমর্থকদের প্রার্থনা শ্রীলঙ্কার দিকেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের অফিশিয়াল পেজেও অনেকে গিয়ে লিখে আসছেন সমর্থনের কথা। তবে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ এসব নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতে চান না। আবুধাবির টিম হোটেলে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের নাসুম বলেছেন, “যে ভালো খেলবে, সে-ই জিতবে। আমরা এসব নিয়ে টেনশন করছি না। যা কপালে আছে, তাই হবে।”

তাকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল, শ্রীলঙ্কার জয়েই বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে। কারণ, আফগানিস্তান যদি আগে ব্যাট করে ২০০ তোলে, তাহলে রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কাকে কেবল ১২৮ তুললেই হবে শেষ চারে উঠতে। আবার আফগানিস্তান ১৫০ করলে শ্রীলঙ্কার দরকার হবে মাত্র ৮৪ রান। এমন কঠিন সমীকরণে না গিয়ে লঙ্কানদের সোজা জয়ের প্রার্থনাই তাই বাংলাদেশিদের স্বস্তির পথ।

তবু নাসুম শান্ত ভঙ্গিতে জবাব দিয়েছেন, “যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে। নির্দিষ্ট করে কাউকে সাপোর্ট করা বা কারও জন্য দোয়া করা, এটা প্রয়োজন মনে করি না। যা লেখা আছে কপালে, তাই হবে। আমরা এটা নিয়ে বেশি ভাবছি না।”

নিজের পারফরম্যান্স নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। এরপর এশিয়া কাপের প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে জায়গা না পেলেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুযোগ কাজে লাগান নাসুম। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচায় তুলে নেন ২ উইকেট, হয়ে ওঠেন দলের জয়ের নায়ক।

নাসুমের ভাষায়, “আমি সব সময় প্রস্তুত থাকি। যখনই সুযোগ পাই, চেষ্টা করি সর্বোচ্চটা দিতে। অনেক সময় হয়, অনেক সময় হয় না। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে এবার আমি পারফর্ম করতে পেরেছি।”