শিরোনাম

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে টাইগার ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়। ছবি: সংগৃহীত।
আধুনিক ক্রিকেটে এখন প্রায় সব দেশই আগ্রাসী ব্যাটিংকে নিয়মিত কৌশল বানিয়ে ফেলেছে। বিশেষ করে টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটে ঝড়ো ব্যাটিং ছাড়া যেন সাফল্য মেলে না। কিন্তু বাংলাদেশি ব্যাটাররা এখনও সেই ধারায় পুরোপুরি মানিয়ে নিতে পারেনি। এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্টে খর্বশক্তির হংকংয়ের বিপক্ষেও তারা লক্ষ্য তাড়ায় কেবল জয় নিশ্চিত করার মানসিকতা দেখিয়েছে। তাতে জয় এসেছে বটে, তবে ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে।
এশিয়া কাপে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল তুলনামূলক ধীরগতির। অধিনায়ক লিটন দাস কিছুটা মারকাটারি ব্যাটিং করলেও ৩৯ বলে করেছেন ৫৯ রান। তবে স্ট্রাইকরেট নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সমালোচিত তাওহীদ হৃদয় আবারও ধীরগতির ব্যাটিং করেন। হংকংয়ের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ৩৬ বলে করেছেন ৩৫ রান, অপরাজিত থেকেছেন শেষ পর্যন্ত।
ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশ রানরেট বাড়ানোর সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি, এমন প্রশ্ন ওঠে ম্যাচ শেষে। তবে তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাখ্যা, এ নিয়ে তাদের দলে বাড়তি চিন্তা নেই। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা আগেও বলেছি, মাঠে নামি জেতার জন্য। আমরা যদি আফগানিস্তান বা শ্রীলঙ্কাকে হারাই, তাহলে তো রানরেটের কিছু আসে–যায় না। আগে থেকে এত জটিল চিন্তা করলে নিজেদের ওপরই চাপ তৈরি হয়। আমাদের যা প্রসেস, আমরা সেটাই অনুসরণ করার চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহর ওপর।”
হৃদয়ের মতে, হংকংয়ের বিপক্ষে ফলাফলকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ। “এটা আমাদের টিম প্ল্যান। আপনারা যেমন রানরেটের কথা বললেন। কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা ছিল যত দ্রুত সম্ভব ওদের অলআউট করে ম্যাচ শেষ করা যায়। দিন শেষে প্রতিটি দলই সমান, ছোট–বড় ভাবার সুযোগ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “এটা শুধু ক্যাপ্টেন বা কোচের সিদ্ধান্ত না, দলের সবার সম্মিলিত পরিকল্পনা। দিন শেষে জেতাটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই ফলাফলের দিকেই আমাদের মনোযোগ ছিল।”
আবুধাবির ধীরগতির উইকেটে হংকংয়ের দেওয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্য ১৭.৪ ওভারে তাড়া করে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের বাকি দুই প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। চার দলের লড়াইয়ে শীর্ষ দুইয়ে থাকলেই সুপার ফোরে জায়গা পাবে টাইগাররা। আগামীকাল (১৩ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবং ১৬ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে নামবে লিটনরা।
আরও পড়ুন: