শিরোনাম
.jpg)
টাইগার ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়। ছবি: সংগৃহীত।
টি-টোয়েন্টির ঝোড়ো ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে ছন্দ হারিয়ে ফেলেছেন তাওহীদ হৃদয়। একসময় প্রতিশ্রুতিশীল ব্যাটার হিসেবে আস্থার নাম হলেও এখন তাঁর ব্যাট থেকে আসছে ধীর ইনিংস, যা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। রান পাচ্ছেন, তবে সেই রান যেন টি-টোয়েন্টির প্রকৃত রূপে মানাচ্ছে না। ফলে তাঁর ফর্ম নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনাও।
গত বছরই ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে। ২০২৪ সালে ২১ ম্যাচে ৪৯৩ রান করেছিলেন হৃদয়, গড় ছিল ৩০.৮১, স্ট্রাইক রেটও ছিল ১৩০-এর ওপরে। অথচ চলতি বছর ছবিটা একেবারে উল্টো। ১৫ ম্যাচে করেছেন মাত্র ২৬০ রান, গড় নেমে গেছে ২৩.৬৩-তে, স্ট্রাইক রেটও স্রেফ ১০৮.৭৮। মাঝের ওভারে ব্যাটিংয়ের সময় রানের খরা যেন পিছু ছাড়ছেই না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যর্থতা, পাকিস্তান সিরিজে ধীর ইনিংস আর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১৪ বলে ৯ রানের ইনিংস তাঁর অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছে। এমনকি এশিয়া কাপে হংকংয়ের বিপক্ষেও ৩৬ বলে করেছেন মাত্র ৩৫ রান, যেখানে তাঁর সঙ্গী লিটন দাস ৩৯ বলে ৫৯ রানের ঝড় তুলেছেন।
নিজের বাজে সময় অস্বীকার করেননি হৃদয়। ম্যাচ শেষে খোলাখুলি বললেন, তাঁর হানিমুন পিরিয়ড শেষ। ব্যাটার জানালেন, তিনি চেষ্টা করছেন, অনুশীলনে পরিশ্রম করছেন, কিন্তু সবকিছুই যে সবসময় ফল দেয় না, সেটা বুঝিয়ে দিলেন। তাঁর ভাষায়, টি-টোয়েন্টি এমন খেলা যেখানে অনেক সময় ১৫-২০ রানও ম্যাচের ফল বদলে দেয়। কিন্তু ইনিংস বড় করার জায়গায় তিনি ধুঁকছেন, বারবার ভালো শুরুকে বড় করতে না পারাই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একসময় বাংলাদেশের একাদশে অটোচয়েজ ছিলেন হৃদয়। কিন্তু এখন তাঁকে জায়গার জন্য লড়তে হচ্ছে সাইফ হাসানের মতো ব্যাটারদের সঙ্গে। ডাচদের বিপক্ষে সুযোগ পেয়ে সাইফের মারকাটারি ব্যাটিং এ ইঙ্গিত দিয়েছে, একাদশে জায়গা ধরে রাখতে হলে হৃদয়কে ফিরতে হবে পুরোনো রূপে।
তবে হতাশ নন হৃদয়। বিশ্বাস রাখছেন দ্রুতই এই ধাক্কা সামলে ফিরবেন। তাঁর মতে, দুই-তিনটা বাউন্ডারি পেলেই ইনিংস বদলে যেতে পারে, আর সেখান থেকেই শুরু হতে পারে নতুন গল্প। নিজের ভেতর উন্নতির জায়গা খুঁজে নিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, প্রতিদিন পরিশ্রম করছেন, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, আর সেই প্রক্রিয়ায় এক ধাপ এগোলেই মিলবে আলো।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে তাঁর আগমন ছিল সম্ভাবনার আলো নিয়ে। সেই আলো ম্লান হয়ে গেছে কিছুটা, তবে নিভে যায়নি একেবারেই। হানিমুন পিরিয়ড শেষ, এখন শুরু হয়েছে টিকে থাকার লড়াই।
আরও পড়ুন: