শিরোনাম

১৯ বলে ২৮ রানের মারকুটে ইনিংস খেলেন হংকং অধিনায়ক ইয়াসিম। ছবি: সংগৃহীত।
এশিয়া কাপ জয়ের মিশনে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ (১১ সেপ্টেম্বর) আবুধাবিতে হংকংয়ের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তাসকিন-মুস্তাফিজ-তানজিম সাকিব-রিশাদ-শেখ মাহেদীদের মাপা বোলিংয়ের সামনে দৃঢ় ব্যাটিংয়ে ১৪৩ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ তুলতে পেরেছে হংকং। নেট রান রেটে এগিয়ে থাকতে দ্রুত রান তাড়া করাই মূল লক্ষ্য থাকবে তামিম-লিটন জাকেরদের।
আবুধাবির ঘাসযুক্ত উইকেটে প্রথম ওভারে টাইগার কাপ্তান লিটন বল তুলে দেন শেখ মাহেদী হাসান। প্রথম ওভারে মাত্র দুই রান দিয়ে একটি উইকেটের সম্ভাবনাও জাগান শেখ মাহেদী। আম্পায়ার এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। ইমপ্যাক্ট অফস্টাম্পের বাইরে থাকায় আম্পায়ার্স কলের সৌজন্যে বেঁচে যান ওপেনার জিশান আলী।
দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে তুলে নেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। প্রতিপক্ষ শিবিরে প্রথম তোপ দাগানো যেন তাসকিনের ট্রেডমার্কে পরিণত হয়েছে। আনশি রাঠ সুইপ করতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে বল হাতে যায় লিটনের বিশ্বস্ত গ্লাভসে। এবারো আম্পায়ার সাড়া না দিলে একদম ১ সেকেন্ড বাকি থাকবে রিভিউ নেন ক্যাপ্টেন লিটন দাস। আল্ট্রা এজে স্পষ্ট দাগ দেখতে পাওয়ায় আম্পায়ারকে সিদ্ধান্ত বদল করতে হয়। ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় হংকং।
আগ্রাসী টাইগার পেসার তানজিম সাকিব হংকং শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন পঞ্চম ওভারে। তিনে নামা বাবর হায়াতের ব্যাটে বিশাল ছক্কা হজম করার পরের বলেই দারুণ এক ইয়র্কারে বাবরের স্টাম্প উপড়ে দেন তানজিম সাকিব। ছক্কা টা যে সাকিব মেনে নিতে পারেননি, সেটা আউট করার পর বাবরের মুখের ওপর মুষ্টিবদ্ধ হাতে আগ্রাসী সেলিব্রেশনেই বুঝিয়ে দিয়েছেন। ১২ বলে ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাবর হায়াত।
পাওয়ারপ্লে’র ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান তোলে ইয়াসিম মুর্তাজার দল।
একপ্রান্ত ধরে খেলছিলেন জিশান আলী। পাওয়ারপ্লে’র পর চারে নামা নিজাকাত খানকে নিয়ে রানের চাকা এগিয়ে নিতে থাকেন। তৃতীয় উইকেট জিশান-নিজাকাত গড়েন ৪১ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক জুটি। দ্বাদশ ওভারে তানজিম সাকিব জিশানকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রান করে বল আকাশে তুলে দিলে ডাইভ দিয়ে বাম হাতে দারুণ এক ক্যাচ ধরেন মুস্তাফিজ।
ধীরগতির ইনিংস খেলা ওপেনার জিশানের বিদায়ের পর ক্রিজে অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তাজা এলে হংকং-এর রানরেট বাড়তে থাকে। তাছাড়া হাতে ৭ উইকেট রেখে হাত খুলে ব্যাট করাটা সহজ ছিল নিজাকাত-ইয়াসিমের। তবে টাইগারদের বোলিংয়ে ক্রমাগত ভ্যারিয়েশনে হাত খুলে খেললেও বাউন্ডারি বের করতে একটু কষ্টই হচ্ছিল হংকং ব্যাটারদের।
এরমধ্যেই হংকং অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তাজা ২ চার ও ২ ছক্কায় ১৯ বলে ২৮ রান করে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রানআউটের শিকার হন। বল আলতো করে শর্ট কভারে ঠেলে দিয়ে অর্ধেকটা দৌড়েও আবার থেমে যান নিজাকাত। ততক্ষণে অনেকটা দূরে চলে গেছেন মুর্তাজা। দুর্ভাগ্যই বলতে হয়। নাহলে হংকংয়ের ইনিংসটা আরেকটু বড় হতে পারত। চতুর্থ উইকেট জুটিতে নিজাকাত-ইয়াসিমের ৪৬ রানের জুটি হংকংয়ের ইনিংসের ভিত গড়ে দেয়।
তবে ডেথ ওভারে রান তুলতে পারেননি হংকং ব্যাটাররা। রিশাদের বলে নিজাকাত ৪০ বলে ৪২ রান করে ফিরে গেলে আর কেউ স্লগিং করতে পারেননি। কিঞ্চিত শাহকে গোল্ডেন ডাক উপহার দেন রিশাদ। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে হংকং-এর ইনিংস।
টাইগারদের বোলারদের মধ্যে দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব ও রিশাদ হোসেন। রান খরচের বেলায় কিপ্টে ছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে একটি মেডেন ওভারও দিয়েছেন সাকিব।
এখন নেট রানরেট বাড়তি রাখতে দ্রুত ১৪৪ রান তোলাই হবে টাইগার ব্যাটারদের মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: