শিরোনাম

ভারতের দুই প্রখ্যাত ক্রিকেট বোদ্ধা আকাশ চোপড়া এবং সঞ্জয় ব্যাঙ্গার। ছবি: সংগৃহীত।
এশিয়া কাপ শুরু হওয়ার আগেই বাংলাদেশ দল নিয়ে নানা আলোচনায় মেতেছেন ক্রিকেটবিশ্ব। অনেকেই টাইগারদের সুপার ফোরে দেখার আশা করেননি, তবে ভারতের দুই প্রখ্যাত ক্রিকেট বোদ্ধা সঞ্জয় ব্যাঙ্গার এবং আকাশ চোপড়া ভিন্ন সুর তুলেছেন। তাঁদের চোখে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো বোলিং ইউনিট বিশেষ করে পেস আক্রমণ।
তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিবের পাশাপাশি তরুণ লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনকেও বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন ব্যাঙ্গার। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর টাইমআউট অনুষ্ঠানে তিনি বলেন,
“টি-টোয়েন্টিতে যে দলের বোলিং আক্রমণ ভালো থাকে, সেই দলই টুর্নামেন্টে এগিয়ে যায়। বাংলাদেশের পেস আক্রমণে বৈচিত্র্য আছে, সঙ্গে লেগস্পিনারও এসেছে। ব্যাটিংটা যদি ছন্দে থাকে, তবে তাদের সামনে ভালো সুযোগ আছে।”
শুধু বোলিং নয়, বাংলাদেশের ব্যাটিংয়েও সাম্প্রতিক সময়ে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করেন এই ভারতীয় কোচ। তাঁর মতে, তরুণরা ছক্কা মারায় দক্ষ হয়ে উঠেছে। ব্যাঙ্গার আশা করছেন লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয় ব্যাটিং লাইনআপে ‘অ্যাংকর’ হয়ে দাঁড়াতে পারবেন। তিনি বলেন, “এই দুজন যদি ভালো টুর্নামেন্ট কাটায়, তবে বাংলাদেশ আবারও সেই স্বর্ণালি দিনগুলো ফিরিয়ে আনতে পারে।”
অন্যদিকে আকাশ চোপড়া মনে করেন, বাংলাদেশ এখনও মূলত বোলিং দিয়েই খেলা নিয়ন্ত্রণ করে। তাঁর ভাষায়, “এটাই তাদের আসল শক্তি। ১৫০–১৭০ রানের ম্যাচে তারা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। মুস্তাফিজ শুরুতে এবং ডেথে কার্যকর, তাসকিনের পেস আছে, তানজিমও ধারাবাহিক। গত এক বছরে এই পেসাররাই দলের উইকেটশিকারী হিসেবে নজর কাড়ছে।”
চোপড়া আরও বলেন, স্পিন আক্রমণে অভিজ্ঞতা কম থাকলেও পেস বিভাগই বাংলাদেশকে ভরসা দিচ্ছে, বিশেষ করে যখন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ দলে নেই।
পেস আক্রমণে মুস্তাফিজ–তাসকিন–তানজিমের সঙ্গে রয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। স্পিনে আছেন রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ ও শেখ মেহেদী হাসান। কাজ চালানোর মতো অফস্পিন করতে পারেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও সাইফ হাসানও। সব মিলিয়ে বোলিং ইউনিটের দিক থেকে এবারের বাংলাদেশ যথেষ্ট সমৃদ্ধ।
আরও পড়ুন: