শিরোনাম

মিসবাহ উল হক ও পারভেজ হোসেন ইমন। ছবি: সংগৃহীত।
এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বাংলাদেশ দলের শক্তি ও দুর্বলতা নিয়ে নিজের বিশ্লেষণ দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ উল হক। তার মতে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো বোলিং আক্রমণ, তবে ব্যাটিং বিভাগে ধারাবাহিকতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মিসবাহর দৃষ্টিতে পেস বোলিং আক্রমণই বর্তমানে বাংলাদেশকে আলাদা উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বিশেষ করে মুস্তাফিজুর রহমানের ধারাবাহিক বোলিং পারফরম্যান্স তাকে মুগ্ধ করেছে। নতুন বলে তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের সাফল্যকেও বড় প্লাস পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন তিনি। মিসবাহ বলেন,
“তাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো বোলিং। মুস্তাফিজ সাদা বলের অন্যতম সেরা বোলার। নতুন বলে কিংবা মাঝের ওভারে, এমনকি ডেথ ওভারেও তার স্লোয়ার ও ইয়র্কার প্রতিপক্ষকে সমস্যায় ফেলে। তাসকিন দারুণ ফর্মে আছে, নতুন বলে উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। শরিফুলও নিয়মিত ভালো বোলিং করছে।”
তবে ব্যাটিং আক্রমণের শক্তি নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। মিসবাহ মনে করেন, আগের মতো অভিজ্ঞতার ছাপ এখন আর নেই। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ কিংবা তামিম ইকবালের সময় ব্যাটিং ছিল দলের বড় সম্পদ। তখন বোলিং ততটা শক্তিশালী ছিল না। কিন্তু এখন পরিস্থিতি উল্টো বোলিং তুলনামূলক শক্তিশালী, আর ব্যাটিং অনেকাংশে নির্ভর করছে দুই-তিনজন ক্রিকেটারের ওপর। তিনি বলেন, “একসময় ব্যাটিং লাইনআপে সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহদের মতো তারকারা ছিলেন। তারা দীর্ঘ সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছে। সেই সময়ে ব্যাটিংই ছিল বড় শক্তি। এখন বোলিং অনেক উন্নতি করেছে, তবে ব্যাটিং নির্ভর করছে কয়েকজনের পারফরম্যান্সের ওপর।”
তরুণ পারভেজ হোসেন ইমনের পারফরম্যান্স নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক। তার মতে, ইমন প্রতিভাবান হলেও ধারাবাহিকতার ঘাটতি রয়েছে। ১৯ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফ সেঞ্চুরি করলেও ব্যাটিং গড় মাত্র ২৩, যা তার কাছে বিস্ময়কর। মিসবাহর ভাষায়,
“ইমন একটি ১০০ আর দুটি ৫০ করেছে। এই রেকর্ডের পর একজন ব্যাটারের গড় অন্তত ৩০ বা তার বেশি হওয়া উচিত। কিন্তু তার গড় মাত্র ২২, যদিও স্ট্রাইক রেট ভালো, ১৩৭। ধারাবাহিকতার এই ঘাটতিই তাকে পিছিয়ে দিচ্ছে।”
সব মিলিয়ে মিসবাহ মনে করেন, বাংলাদেশের বোলিং যেকোনো দলকে চাপে ফেলতে সক্ষম। তবে ব্যাটাররা যদি ধারাবাহিকতা দেখাতে পারে, তাহলে লাল-সবুজের দল এশিয়া কাপে বড় চমক দেখাতে পারে।
আরও পড়ুন: