শিরোনাম

আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও তামিম ইকবাল। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের আমেজ ইতোমধ্যেই তীব্র হয়ে উঠেছে। আগামী ৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের মধ্যে। এর মাঝেই নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বুলবুলের অভিযোগ, অজ্ঞাত ফোনকলে তিনি হুমকি পেয়েছেন।
বুলবুল গত বৃহস্পতিবার জানান, ফোনে তাকে নির্বাচনে না অংশ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই দিনে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়, যেখানে বুলবুলের জন্য নিরাপত্তা ও অস্ত্রধারী প্রহরীর অনুরোধ জানানো হয়। যদিও সেখানে হুমকির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। পরে এক বেসরকারি টেলিভিশনে এসে নিজেই তা প্রকাশ করেন বুলবুল।
এ নিয়ে গুঞ্জন ছড়ায় তামিম ইকবালের সম্পৃক্ততা আছে কি না। তবে সম্প্রতি এক টিভি টকশোতে এসে তামিম সরাসরি বিষয়টি অস্বীকার করেন। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, “আমি ক্রিকেটার, সন্ত্রাসী নই। যদি সত্যিই এমন কিছু ঘটে থাকে, তবে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে বুলবুল ভাই যখনই মন্তব্য করেন, সেটা যেন স্পষ্ট করে বলেন। মাঝেমধ্যে উনি কিছু প্রশ্ন রেখে দেন।”
তবে শুরুর দিকে বুলবুল ফোনকলটিকে ‘হুমকি’ আখ্যা দেননি। শুধু এটুকুই বলেন, ফোন করে তাকে বলা হয়েছে, “ইলেকশন না করলে হয় না? না করলে ভালো হয়।” সাবেক এই অধিনায়ক এবং দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান তখনই জানান, বিষয়টি তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছে।
বিসিবি নির্বাচনে সভাপতি পদ ছাড়াও পরিচালক পদে লড়াইয়ে নামতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তামিম ইকবাল। ইতোমধ্যে সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদসহ আরও কয়েকজনও প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একের পর এক চমকের মধ্যে বুলবুলের প্রার্থিতা ও তার সাম্প্রতিক অভিযোগ নির্বাচনের উত্তাপ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
আরও পড়ুন: