“বিসিবি কাজ করলে কোয়াবের কিছু করার থাকবে না”

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২১:২৪

শেয়ার

“বিসিবি কাজ করলে কোয়াবের কিছু করার থাকবে না”
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ছবি: সংগৃহীত।

ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। জাতীয় দলের এই ব্যাটার বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। সভাপতি পদের লড়াইয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার সেলিম শাহেদ। ভোটে মিঠুন পেয়েছেন ১৫৪ ভোট, আর সেলিম শাহেদ পেয়েছেন মাত্র ৩৪ ভোট। অর্থাৎ ১২০ ভোটের ব্যবধানে কোয়াবের নেতৃত্বে আসেন মিঠুন।

 

কেন্দ্রীয় কমিটির বাকি ১০ পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না। একক প্রার্থী থাকায় সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, নুরুল হাসান সোহান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, আকবর আলী, রুমানা আহমেদ, শামসুর রহমান শুভ, ইরফান শুক্কুর, খালেদ মাসুদ পাইলট ও ইমরুল কায়েস।

 

নির্বাচনের দিনে ভোট দিতে আসেন তামিম ইকবালও। সাবেক অধিনায়ক মনে করেন, ক্রিকেটারদের স্বার্থ রক্ষায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরই।

তিনি বলেন, “আমার তো মনে হয়, আল্লাহ করুক ওদের যেরকম কোনো কাজই না থাকুক। যদি ক্রিকেট বোর্ড খেলোয়াড়দেরকে দেখভাল করে, তাদের টাকা-পয়সা, সবকিছুর দিক থেকে যদি দেখভাল করে, তো তাদের তো কোনো কাজ করার উচিত না। কারণ কী নিয়ে অভিযোগ করবে?”

 

তামিম যোগ করেন, “তাই আমার মনে হয়, ওদের চেয়ে বেশি ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব যে, ওদেরকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হোক, যেটা ওদের অধিকার আর যেটার জন্য ওরা যোগ্য। সো, এই জিনিসগুলো যদি ক্রিকেট বোর্ড সবকিছু ঠিকভাবে করে, কোয়াবের তো কোনো কিছু অভিযোগ করারই থাকবে না। আমি আশা করব যে, আমাদের কোয়াবের তরফ থেকে কোনো অভিযোগই যাবে না। এটাই আশা করি।”

 

বর্তমান ক্রিকেটারদের নেতৃত্বে আসাটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন তামিম। তার ভাষায়, “এই ধরনের সংগঠনের ৯৫% কাজ কিন্তু সক্রিয় ক্রিকেটারদেরকে নিয়ে। কারণ ধরুন, কারও যদি পেমেন্টের সমস্যা হয়, কোনো খেলোয়াড়ের যদি সুযোগ-সুবিধার সমস্যা হয়, এগুলো কিন্তু হবে বর্তমান ক্রিকেটারদেরকে নিয়ে। তাই বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে যদি সভাপতি হয় বা কমিটি হয়, আমি এটাকে খুবই ভালোভাবে দেখি।”