“কেন নির্বাচন করিনি আপনারা জানেন, সামনে আরও জানবেন”

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৩

আপডেট: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:৩০

শেয়ার

“কেন নির্বাচন করিনি আপনারা জানেন, সামনে আরও জানবেন”
কোয়াব নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন তামিম ইকবাল। ছবি: সংগৃহীত।

মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়াম বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে  যেন হয়ে উঠেছিল ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। ভোটগ্রহণের পাশাপাশি সাবেক-বর্তমান সতীর্থদের দেখা, গল্প-আড্ডায় জমে উঠেছিল উৎসবের আমেজ। উপলক্ষ্য ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নির্বাচন।

 

ভোট দিতে এসেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও। সাদা পাঞ্জাবি পরা তামিমকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই ছিল বাড়তি আগ্রহ। সম্প্রতি বিসিবির আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় তাঁর উপস্থিতি ছিল আরও আলোচিত। এর আগে শোনা গিয়েছিল, কোয়াবের সভাপতি পদেও হয়তো লড়বেন তিনি।

 

শেষ পর্যন্ত অবশ্য প্রার্থী হননি তামিম। কেন লড়লেন না এমন প্রশ্নে খানিকটা রহস্য রেখেই তিনি বলেন, ‘আপনারাও জানেন আমি কী কারণে (কোয়াব নির্বাচনে) আসিনি। আশা করি সামনে আরও পরিষ্কার হবে।’ তামিমের এই মন্তব্যে ইঙ্গিতটা স্পষ্ট তিনি বিসিবির নির্বাচনের দিকে মনোযোগী। বোর্ডের পরিচালক বা সভাপতি হলে স্বার্থের সংঘাত তৈরি হতে পারত, সেজন্যই কোয়াব থেকে সরে আসা। যদিও অতীতে এমন রীতি কঠোরভাবে মানা হয়নি।

 

এবারের কোয়াব নির্বাচনে সভাপতি পদ ছাড়া অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না। সভাপতি হওয়ার দৌড়ে ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার ও ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ এবং জাতীয় দলের বর্তমান ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন। কার্যনির্বাহী কমিটির বাকি দশ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

 

উল্লেখ্য, গত বছর রাজনৈতিক পালাবদলের পর কোয়াব সভাপতি নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল দায়িত্ব ছাড়েন। পরে সেলিম শাহেদের নেতৃত্বে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির তত্ত্বাবধানেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের নির্বাচন।

 

তামিম যদিও প্রার্থী হননি, তবে তিনি আশাবাদী ভবিষ্যতের জন্য, ‘অনেক কিছু নিয়েই প্রশ্ন থাকতে পারে। আমাদের আসল ইচ্ছা ছিল নির্বাচনটা হোক, নতুন কমিটি আসুক। এখন তাদের হাতে দুই বছর সময় আছে। এর মধ্যে সবকিছু সিস্টেমেটিকভাবে গুছিয়ে নিতে হবে। এখন পর্যন্ত যা দেখছি, ভালোই লাগছে।’