শিরোনাম

ইংলিশ পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উড। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে স্বল্প সময়ের জন্য হলেও এক নতুন আলো ছড়িয়ে গেছেন ইংলিশ পাওয়ার হিটিং বিশেষজ্ঞ জুলিয়ান উড। মাত্র তিন সপ্তাহের সফর, অথচ এত কম সময়ে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন দলের মানসিকতা, খেলোয়াড়দের শিখতে আগ্রহ এবং মাঠে তার প্রভাবের প্রকাশ দেখে। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উড খোলাখুলি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ব্যাটিং এখন এমন পথে হাঁটছে যা ভবিষ্যতের জন্য আশাব্যঞ্জক, বিশেষ করে পাওয়ার হিটিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিকটিতে।
নেদারল্যান্ডস সিরিজের পারফরম্যান্স তুলে ধরে উড বলেছেন, শুরুতেই পার্থক্য চোখে পড়েছে তার। প্রথম ম্যাচের ব্যাটিং পরিকল্পনাকে তিনি আখ্যা দিয়েছেন “নিখুঁত” বলে। পাওয়ার হিটিংয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ, তারপর তা বাস্তবায়ন, সবই হয়েছে তার প্রত্যাশামতো। তার ভাষায়, “আমি পাওয়ার প্লেতে ৬০ রান চেয়েছিলাম, আমরা তুলেছিলাম ৫৭। চাইছিলাম ১৩ ওভারে খেলা শেষ হোক, সেটিও করেছি। প্রথম ম্যাচেই আমরা বার্তা দিতে সক্ষম হয়েছি।” শুধু জয় নয়, এই জয় ছিল পরিকল্পিত আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের প্রতিচ্ছবি। স্কোরবোর্ডে রান ওঠার চেয়েও বড় ছিল কৌশলগত সাফল্যের বার্তা।
দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য গল্পটা ছিল ভিন্ন। উইকেটের চরিত্র বদলানোয় কৌশলও পাল্টাতে হয়েছে। কিন্তু সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও ব্যাটসম্যানরা নিজেদের মানিয়ে নিয়েছেন দারুণভাবে। ১০৪ রানের টার্গেট ১৩.১ ওভারে টপকে যাওয়া সেই মানসিকতারই প্রমাণ।
এ প্রসঙ্গে উড বলেন, “দ্বিতীয় খেলায় উইকেট সহজ ছিল না, তাই কৌশল বদলাতে হয়েছে। আধুনিক ক্রিকেটে পরিস্থিতি বুঝে মানিয়ে নেওয়াটাই আসল। আর দুটি ম্যাচেই আমরা সেই ইতিবাচকতা দেখতে পেয়েছি।”
উডের পর্যবেক্ষণে তাই স্পষ্ট, বাংলাদেশ এখন শুধু শক্তি দিয়ে মারার দলে সীমাবদ্ধ নয়। তারা শিখছে কিভাবে ম্যাচের প্রেক্ষাপটে ব্যাটিং কৌশল পাল্টাতে হয়। এই অভিযোজন ক্ষমতাই দীর্ঘ মেয়াদে সাফল্যের পথ তৈরি করে। আর উডের চোখে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সেই পথে হাঁটা শুরু করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: