শিরোনাম

বাংলাদেশের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে রাজকীয় জয়ের পর বাংলাদেশ শিবির এখন দারুণ ফুরফুরে মেজাজে। সেই জয়কে পুঁজি করে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলেই সিরিজ নিজেদের করে নিতে পারবে এক ম্যাচ হাতে রেখেই। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের হয়ে কথা বলেছেন সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। সিরিজ জয় নিয়ে আশাবাদী হলেও তার মূল আলোচনায় ছিল ক্রিকেটারদের মানসিকতা, উন্নতি এবং ধারাবাহিক প্রস্তুতি।
সালাউদ্দিনের মতে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে থাকতে হলে প্রতিদিনই নতুন কিছু শিখতে হয়। তিনি বলেন, “আমাদের প্রফেশনে সন্তুষ্টি হওয়ার কিছু নাই। প্রতিদিনই উন্নতি করতে হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনেক কঠিন। চ্যালেঞ্জ সবসময় আসতেই থাকে। ড্রেসিংরুম ভরে ফেললেও লাভ নেই, শেষ পর্যন্ত প্লেয়াররাই বড় হবে কিনা সেটাই আসল।”
তিনি আরও জানান, খেলোয়াড়দের মানসিকতায় ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। ফিটনেস নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে। অনেক ক্রিকেটার ব্যক্তিগত খরচে নিউট্রিশনিস্ট নিয়েছেন। এসবই দলের সামগ্রিক উন্নতিতে সহায়ক হবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
নেদারল্যান্ডস সিরিজের আগে লম্বা ক্যাম্পে স্কিল ও ফিটনেসের ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। শুধু মূল একাদশ নয়, প্রাথমিক দলে থাকা নাহিদ রানা, ইবাদত হোসেন চৌধুরী, খালেদ আহমেদরাও ছিলেন প্রস্তুতিতে। এতে সম্ভাব্য ইনজুরি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ ব্যাকআপ তৈরি হচ্ছে।
সালাউদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশে যারা ক্রিকেট খেলে সবাই আমাদের রাডারে থাকবে। আমরা রানা, খালেদ, ইবাদতকে নিয়ে আসছিলাম কারণ মনে হয়েছে এই ছেলেরা এই স্ট্যান্ডার্ডের। একসাথে অনুশীলন করলে মূল দলের কাউকে ইনজুরিতে হারালেও রিপ্লেসমেন্ট পাওয়া সহজ হবে। এভাবে ভালো খেলোয়াড়ের সংখ্যা বাড়ানোই লক্ষ্য।”
নতুন প্রজন্মের হাত ধরেই এগোবে ক্রিকেট, বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘পঞ্চপাণ্ডব’, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মাশরাফি বিন মুর্তজা দেশের ক্রিকেটকে বহু সাফল্য উপহার দিয়েছেন। তবে সালাউদ্দিন মনে করেন, তাদের উত্তরসূরীরা আরও ভালো হতে না পারলে সামনে অগ্রগতি হবে না। তিনি বলেন, “আমরা চাই নতুন প্রজন্ম যেন তাদের চেয়েও ভালো হয়। তারা দেশের ক্রিকেটকে আরও বেশি দিতে পারে এটাই আমাদের কাজ, আমাদের লক্ষ্য।”
প্রথম ম্যাচে এগিয়ে থেকে এখন বাংলাদেশের লক্ষ্য দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করা। প্রস্তুতি ও মানসিকতায় যে পরিবর্তন এসেছে, তাতে আশাবাদী পুরো টিম ম্যানেজমেন্ট।
আরও পড়ুন: