অধিনায়কের পারফরম্যান্সে দলের চেহারাই বদলে যায়- পাইলট

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট, ২০২৫ ২০:২১

শেয়ার

অধিনায়কের পারফরম্যান্সে দলের চেহারাই বদলে যায়- পাইলট
লিটন দাসের নেতৃত্বের প্রশংসা করলেন সাবেক অধিনায়ক পাইলট। ছবি: সংগৃহীত।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক লিটন দাসের ব্যাটিং ছিল এক ধরনের দলের প্রেরণা। হার না মানা হাফ-সেঞ্চুরি খেলতে খেলতে লিটন শুধু রানই করেননি, বরং নিজের নেতৃত্বের উদাহরণ দিয়ে পুরো দলকে এগিয়ে নিয়েছেন।

 

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট মনে করেন, দলের সাফল্য নির্ভর করে কেবল কৌশল বা পরিকল্পনার ওপর নয়, অধিনায়কের পারফরম্যান্স ও উপস্থিতিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। পাইলট বলেন, “শুধু ক্রিকেট নয়, জীবনের যে কোনো ক্ষেত্রে নেতা নিজেই যদি ভালো পারফর্ম করে, তাহলে দলের মানসিকতাও বদলায়। নেতৃত্ব শুধু কৌশলগত নয়, অনুপ্রেরণারও বিষয়। অধিনায়ক যদি দুর্দান্ত খেলে, সতীর্থরাও আত্মবিশ্বাসী হয়।”

 

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জয় আসলেই প্রমাণ করেছে অধিনায়কের প্রভাব। ডাচরা আগে ব্যাট করে মাত্র ১৩৬ রান করতে পারে। ম্যাচসেরা হিসেবে নাম লেখান তাসকিন আহমেদ, নেন চারটি উইকেট। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন সাইফ হাসানও। বল হাতে দুটি উইকেট নেন তিনি, আর ব্যাট হাতে খেলেন ১৯ বলে ৩৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস, একটি চার ও তিনটি ছক্কা।

 

পাইলট সাইফকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “যখন ১১ জন খেলে, তখন অধিনায়কের নেওয়া সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ। সাইফকে খেলানো ঠিকই হয়েছে, সে ভালো খেলেছে, পার্টটাইম বোলিং করেছে, উইকেট নিয়েছে, সুন্দর ফিনিশিং করেছে। দীর্ঘদিন পরে ফিরলেও চাপ সামলেছে এবং দারুণ খেলেছে।”

 

অধিনায়কের প্রভাব কেবল মাঠের কৌশলে সীমাবদ্ধ নয়। পাইলট আরও বলেন, “অধিনায়ক নিজে পারফর্ম করলে আত্মবিশ্বাসী থাকে, সতীর্থদের সঙ্গে যোগাযোগও শক্তিশালী হয়। কিন্তু নিজে যদি ব্যস্ত থাকে শুধু নিজের চিন্তায়, তাহলে অন্যকে উৎসাহ দিতে পারে না।”

 

সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে লিটন দাস দলের মানসিকতাকে পরিবর্তন করেছেন। পাইলটের মতে, তাঁর ব্যাটিং ও নেতৃত্বের মিলিত প্রভাবই ভবিষ্যতের সাফল্যের পথ তৈরি করবে। বর্তমান অধিনায়ক নিজে ভালো থাকলে, দলও আত্মবিশ্বাসী হবে, আর বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাফল্যের গল্পও আরও এগোবে।