‘সুপার ট্যালেন্ট’ খুঁজতে স্কুল ক্রিকেট ঢেলে সাজাবেন আমিনুল

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৫৭

আপডেট: ২৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:০৩

শেয়ার

‘সুপার ট্যালেন্ট’ খুঁজতে স্কুল ক্রিকেট ঢেলে সাজাবেন আমিনুল
চট্টগ্রামে আমিনুল ইসলাম বুলবুল, আকরাম খান ও বিসিবি কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত।

প্রাইম ব্যাংকের সহযোগিতায় বছরের পর বছর ধরে স্কুল ক্রিকেট আয়োজন করে আসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এটি দেশের স্কুল পর্যায়ে সবচেয়ে বড় ক্রিকেট উৎসব। তবে দেশের ক্রিকেটে নতুন প্রতিভা তুলে আনার ক্ষেত্রে এটিকে আরও কার্যকর করে তুলতে চায় বিসিবি। সামনের সময়টায় স্কুল ক্রিকেট নতুন রূপে শুরু করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

 

বিশ্বের শীর্ষ ক্রিকেট খেলুড়ে অনেক দেশে স্কুল ক্রিকেটের কাঠামো শক্তিশালী। উপমহাদেশের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় স্কুল ক্রিকেট থেকেই পেশাদার ক্রিকেটারদের মূল জোগান আসে। ভারতে বিভিন্ন রাজ্য ও শহরে স্কুল ক্রিকেটের সংস্কৃতি অনেক পুরনো ও গভীর।

 

বাংলাদেশে স্কুল ক্রিকেট দীর্ঘদিন ধরে চললেও মান ও কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন ছিল। আমিনুল নিজে স্কুল ক্রিকেট খেলেই নিজেকে তৈরি করেছেন, এবং তার সময়ের আরও কিছু ক্রিকেটারও এভাবেই উঠে এসেছেন। প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট গত কয়েক বছরে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। তবে স্কুল ক্রিকেট থেকে সরাসরি দেশের ক্রিকেটের মূল স্রোতে ক্রিকেটারদের প্রবাহ এখনও ততটা আশাপ্রদ নয়।

 

এখানেই পরিবর্তনের লক্ষ্য দেখান আমিনুল। চট্টগ্রামে আঞ্চলিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, স্কুল ক্রিকেটে নতুন উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন। তিনি বলেন,“আগামী দিনের তামিম-সাকিব-মুশফিক-রিয়াদ, এরা সবাই স্কুলে আছে। আমাদের কাজ, আমাদের দায়িত্ব হলো প্রতিভাগুলোকে কীভাবে বের করে আনা যায়। স্কুল ক্রিকেট অনেক দিন ধরে হচ্ছে। এবার আমরা নতুন উদ্যোগে নতুনভাবে স্কুল ক্রিকেট করব। শুধু খেলা হবে না, দেশজুড়ে ক্রিকেট ভক্ত তৈরি হবে এবং সেখান থেকে সুপার ট্যালেন্টগুলো বের হবে।”

 

বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর আমিনুলের নানা উদ্যোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো ক্রিকেট বিকেন্দ্রীকরণ। যদিও আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা এখনও কার্যকর হয়নি, এবং ঢাকার বাইরে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ার পূর্ণ কাঠামো নেই, তিনি নানা উপায়ে ক্রিকেটকে তৃণমূলে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

 

চট্টগ্রামের এই টুর্নামেন্টকে সেই প্রচেষ্টার একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিসিবি প্রধান। তিনি মূল কৃতিত্ব দিয়েছেন চট্টগ্রামের সন্তান ও বিসিবি পরিচালক আকরাম খানকে।

 

“আইডিয়া পর্যায়ে ছিল এবং মাঠে আনা হয়েছে আকরাম খান ও তার দলের পরিকল্পনায়। বিকেন্দ্রীকরণ শুধু প্রতিযোগিতামূলক নয়, প্রতিটি জেলার নিজস্ব ক্রিকেট সত্তাকে প্রস্ফুটিত করতে হবে। বিভিন্ন উপজেলা থেকে ভালো ক্রিকেটাররা জেলায় এসে খেলতে পারবে, জেলা শুধু ভালো দল নয়, বরং একটি ক্রিকেট পরিবার গড়তে পারবে, ফিজিও, ট্রেনার ও স্টাফসহ।”

 

“প্রথম ইভেন্টে যে পরিমাণ সাড়া দেখলাম, চট্টগ্রাম এটি শুরু করল। আশা করি অন্যান্য অঞ্চলেও সুন্দরভাবে এটি কার্যকর হবে।”

 

বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উঠে আসা প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের ঘষেমেজে তৈরি করার দায়িত্ব বিসিবির, বলেছেন আমিনুল। “শেষ পর্যায় মানে খেলা। তার আগে অনুশীলন, প্রতিভা প্রদর্শন, ম্যাচ পরিস্থিতিতে খেলা। ম্যাচের মাধ্যমে নতুন প্রতিভা উঠে আসবে, এটাই সবচেয়ে সহজ পথ।”

 

“এখানে শুধু খেলা নয়, আমাদের কাজ হলো প্রতিভা বাছাই করা, ধরে রাখা। আমাদের গেম ডেভেলপমেন্ট এবং হাই পারফরম্যান্স বিভাগের মাধ্যমে সেরা প্রতিভাগুলো নিয়ে পাইপলাইন শক্তিশালী করা।”