উপযুক্ত সময়ে দলে জায়গা পেয়েছে সোহান: রাজিন সালেহ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৪৪

শেয়ার

উপযুক্ত সময়ে দলে জায়গা পেয়েছে সোহান: রাজিন সালেহ
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রাজিন সালেহ। ছবি: সংগৃহীত।

প্রায় তিন বছর পর নেদারল্যান্ডস সিরিজ ও এশিয়া কাপ দিয়ে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান। তার দলে ফেরা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোচ রাজিন সালেহকে বেশ খুশি করেছে। নির্বাচকদের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।

 

ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করলেও জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছিলেন না সোহান। এশিয়া কাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে জায়গা পাওয়ার পর থেকেই তার জাতীয় দলে ফেরার আভাস মিলছিল। এবার সেটিই সত্যি হলো।

 

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি আসরে খুলনার হয়ে আলো ছড়িয়েছিলেন তিনি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও (ডিপিএল) দারুণ ব্যাটিং করেন, ২০২৪ মৌসুমে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে ১১ ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফ সেঞ্চুরিতে করেন ৫১২ রান। আগের মৌসুমেও তার সংগ্রহ ছিল ৪৯৫ রান। এছাড়া নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে দুটি সেঞ্চুরি ও শ্রীলঙ্কা সফরের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসও খেলেছিলেন তিনি। চলমান টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ফর্ম ধরে রেখেছেন। এসব পারফরম্যান্সই ফিরিয়ে আনল তাকে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে।

 

শুধু সোহান নন, ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্মার সাইফ হাসানও ফিরেছেন দলে। বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ১৩ ম্যাচে ৩০৬ রান করেছিলেন তিনি। ডিপিএলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে করেছিলেন ৫৪৫ রান। গ্লোবাল সুপার লিগ ও প্রস্তুতি ম্যাচেও তার পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া।

 

তাদের অন্তর্ভুক্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করে রাজিন বলেন, “নতুন যে টিমটা হয়েছে, আমি তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। নির্বাচকদের ধন্যবাদ সোহানকে সুযোগ দেওয়ার জন্য। তার জায়গাটা প্রাপ্য ছিল। একইভাবে সাইফ হাসানকেও সঠিক সময়ে সুযোগ দিয়েছে। আমি মনে করি দলটা এখন অনেক ভালো।”

 

এশিয়া কাপের আগে ৩০ আগস্ট নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিলেটে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। পরের দুটি ম্যাচ হবে ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর একই ভেন্যুতে। এই সিরিজ শেষ করেই এশিয়া কাপে অংশ নিতে উড়াল দেবে লিটন দাসরা।

 

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ পড়েছে গ্রুপ ‘বি’-তে। সেখানে ১১ সেপ্টেম্বর হংকং, ১৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা ও ১৬ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে তারা। গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারলে সুপার ফোরে আরও তিন ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে।

 

বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী রাজিন বলেন, “যখন পাঁচ পান্ডব চলে গেছে তখন অভিজ্ঞতা কিছুটা কমেছে। তবে এখন যারা আছে, তাদের অনেকেই চার-পাঁচ বছর ধরে খেলছে। আমি মনে করি না অভিজ্ঞতার অভাব আছে। টিমটা এখন সেমিফাইনাল খেলার মতো শক্তিশালী। ফাইনালে গেলে আমি খুশি হবো।”

 

তিনি আরও যোগ করেন, “ওপেনার থেকে শুরু করে সোহান পর্যন্ত সবাই অভিজ্ঞ। সাইফ হাসানও বহু বছর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে আসছে। তাই এই দল পারফর্ম করবেই বলে আমার বিশ্বাস।”