শিরোনাম

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের খেলোয়াড়দের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) যাচ্ছে বড় পরিবর্তনের পথে। দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে বাদ দেওয়া হয়েছে ঐতিহ্যবাহী সাধারণ সম্পাদক (সেক্রেটারি) পদ। নতুন কাঠামোয় থাকছে একজন সভাপতি, একজন সিনিয়র সহ-সভাপতি, একজন সহ-সভাপতি এবং আটজন কার্যনির্বাহী সদস্য।
ভোট হবে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর, মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে। দুপুর তিনটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা ভোটের লড়াইয়ে ঠিক হবে কোয়াবের নতুন নেতৃত্ব। বর্তমান ১৩ সদস্যের অ্যাড-হক কমিটির মূল দায়িত্ব এই নির্বাচন আয়োজন।
শুরুতে শোনা যাচ্ছিল, কোয়াবের সভাপতির চেয়ারে বসতে পারেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে ক্রিকেট বোর্ডের আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ থাকায় কোয়াবের দৌড়ে নেই তিনি। ফলে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমবে বর্তমান আহ্বায়ক সেলিম শাহেদ ও সাবেক ক্রিকেটার মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর মধ্যে। যদিও সেলিম শাহেদ এখনো মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। সহ-সভাপতি পদে শোনা যাচ্ছে জাতীয় দলের ব্যাটার মোহাম্মদ মিঠুনের নাম।
সদস্যপদে নতুন ক্যাটাগরি
নতুন কমিটিতে সদস্য হওয়ার শর্ত ও সুযোগ-সুবিধাতেও এসেছে পরিবর্তন। তিন ধাপে ভাগ করা হয়েছে সদস্যপদ। আজীবন সদস্যপদ: জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটাররা ৫০ হাজার টাকায় নিতে পারবেন এই পদ। জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ টাকা। এ ক্যাটাগরিতে কোনো বাৎসরিক ফি দিতে হবে না, তবে থাকবে পূর্ণ ভোটাধিকার।
স্থায়ী সদস্যপদ: ১৯৭২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় দল, প্রথম শ্রেণি, লিস্ট ‘এ’ বা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলা ক্রিকেটাররা মাত্র ৫ হাজার টাকায় নিতে পারবেন এই সদস্যপদ। তবে এখানে বছরে নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে।
সহযোগী সদস্যপদ: খরচ তুলনামূলক কম, ২ হাজার টাকায় মিলবে এই সুযোগ, সঙ্গে বছরে ১,২০০ টাকা ফি। তবে এই সদস্যরা ভোট দেওয়ার অধিকার পাবেন না।
আরও পড়ুন: