শিরোনাম

টাইগারদের বড় শট খেলা শেখাচ্ছেন পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উড। ছবি: সংগৃহীত।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রতিটি রানের গুরুত্ব অনেক বেশি। বিশেষ করে ইনিংসের শেষভাগে টেল এন্ডার ব্যাটারদের অবদান ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিটে এ দিকটি শক্তিশালী করতে বিশেষ কাজ করেছেন ইংলিশ পাওয়ার-হিটিং কোচ জুলিয়ান উড। তাঁর বিশ্বাস, শুধু মূল ব্যাটার নয়, লেজের দিকের ব্যাটাররাও শেষ মুহূর্তে দলের জন্য ভরসা হয়ে উঠতে পারে।
উড স্পষ্ট করে বলেছেন, টেল এন্ডারদের ব্যাটিং উন্নত করাও তাঁর পরিকল্পনার অংশ। তিনি বলেন, “হ্যাঁ, টেল এন্ডারদের নিয়েও কাজ করেছি। ওরা যখন নামে তখনও সাধারণত ১ থেকে ৩ ওভার বাকি থাকে। যদি তাদের সঠিকভাবে গড়ে তোলা যায়, তাহলে ওরা বাউন্ডারি হাঁকাতে পারবে, ডট বল কমিয়ে রান সংগ্রহ করতে পারবে। তাদেরকেও স্ট্রাইকার হয়ে উঠতে হবে, উইকেটে থাকাকালীন সময়ে রান তোলার মানসিকতা ও দক্ষতা, দুটিই থাকা জরুরি।"
তবে বাস্তবতা হলো, মিরপুরের মতো ধীরগতির উইকেটে টেল এন্ডারদের জন্য মারকুটে ব্যাটিং সহজ নয়। সেই চ্যালেঞ্জের দিকটি তুলে ধরতে গিয়ে উড বলেন, “আপনাকে স্মার্ট হতে হবে। তারা স্কিলফুল, সবারই ভালো স্কিল আছে। স্লো পিচে ইংল্যান্ড বা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররাও সংগ্রাম করবে। কিন্তু বাংলাদেশের ছেলেদের পাওয়ার আছে, সেটাই কাজে লাগাতে হবে। ফিটনেস ও পেশিশক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় ক্রিকেটাররা এই চ্যালেঞ্জ পেরোতে সক্ষম।"
অন্যদিকে, যেসব ব্যাটাররা মূলত টাইমিংয়ের ওপর নির্ভরশীল, তাঁদের জন্য আলাদা দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন উড। পাওয়ার হিটিংয়ের চেয়ে স্মার্ট ব্যাটিং ও রান রোটেশনে জোর দিয়েছেন তিনি। তাঁর ভাষায়, “পাওয়ারপ্লেয়ার কয়েকজন আছে আমাদের, বিষয়টা দারুণ। তবে ওদের বল স্ট্রাইকিংয়ের ধারাবাহিকতা দরকার। ছোট কিছু বিষয়ে কাজ করতে হবে, আরও একটু বডি মুভমেন্ট, ব্যাটার পজিশন, ব্যাটিং সিকুয়েন্স। সিঙ্গেলকে ডাবলে, ডাবলকে চার বানানো, আর ডট বলের জায়গায় অন্তত একটি রান নেওয়া জরুরি।”
উড জোর দিয়ে বলেছেন, "আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে শুধু টেকনিক নয়, বরং মুভমেন্টই আসল পার্থক্য গড়ে দেয়। জুলিইয়ান উড একটা কথা সবসময় বলেন, “মুভমেন্ট ওভার টেকনিক, মুভমেন্ট ওভার মেকানিক্স।” অর্থাৎ, শরীরের গতিশীল ব্যবহারই ব্যাটারদের আরও কার্যকরী করে তুলতে পারে।
আরও পড়ুন: