শিরোনাম

জাতীয় দলের আগ্রাসী পেসার তানজিম হাসান সাকিব। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিব সম্প্রতি নিজের জীবনদর্শন, পরিশ্রম এবং ক্রিকেটে সফল হওয়ার দর্শন নিয়ে খোলাখুলি বক্তব্য দিয়েছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রাক্তন এই খেলোয়াড় নাবিলের সঙ্গে এক পডকাস্টে তার অভিজ্ঞতা ও দেশের নবীন ক্রিকেটারদের জন্য মূল বার্তা শেয়ার করেছেন। সাকিবের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, সফল হতে হলে কোনো অজুহাত নয়, নিরলস পরিশ্রম এবং লক্ষ্যনিষ্ঠা অপরিহার্য।
পডকাস্টে সাকিব বলেন, “এখন যারা খেলা শুরু করবে বা খেলছে, তারাই একদিন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। তাদের এখন থেকেই বলব, কোনো অজুহাত দেওয়া যাবে না। আমার ট্রেইনার যদি বলে ১০ কিমি দৌড়াতে, আমাকে ১০ কিমিই দৌড়াতে হবে। কোচ যদি বলে নেটে ৫ ওভার বোলিং করতে, তাই করব। যদি বলে ১০০টা কাভার ড্রাইভ খেলবা তারপর ছুটি, আমি ১০০টা খেলব। কোনো অজুহাত চলবে না।”
নিজের জীবনের অভিজ্ঞতাও তিনি শেয়ার করেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে বাদ পড়ার পর সাকিব চার মাস বাড়ি যাননি। তিনি মনে করেছিলেন, সুযোগ পেলে খেলার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। সাকিব বলেন, “আমি তখন মনস্থির করেছিলাম যে দলে সুযোগ পাব, খেলব তারপরেই বাড়ি যাব।”
সাকিব শচীন টেন্ডুলকার, বিরাট কোহলি এবং নিজের সতীর্থ মুশফিকুর রহিমের উদাহরণ উল্লেখ করে বলেন, “শচীন টেন্ডুলকারের ত্যাগ দেখো। তিনি প্রিয় খাবারও খাওয়েননি ক্যারিয়ারের সময়। এরকম উদাহরণ বিরাট কোহলিরও আছে। আমাদের চোখের সামনে উদাহরণ আছে মুশফিক ভাই। এই ধরনের জীবন না বানালে সফল হওয়া কঠিন।”
তিনি আরও বলেন, নিজের স্বপ্নকে বড়ভাবে দেখা উচিত এবং সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য নিরলস পরিশ্রম করতে হবে। সাকিবের মতে, কোচ ও শিক্ষকদের দিকনির্দেশনা এবং বিশ্বাস তাকে সঠিক পথে নিয়ে এসেছে। তিনি জানান, “আমার স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হওয়া, কিন্তু কীভাবে তা অর্জন করতে হবে জানতাম না। স্যারদের দিকনির্দেশনা মানার চেষ্টা করেছি। আজ দেশের হয়ে খেলছি, তবে আরও অনেক লক্ষ্য বাকি আছে।”
সাকিব তরুণদের মনে করিয়ে দেন, ক্রিকেটে শুধু প্রতিভা নয়, ধারাবাহিক পরিশ্রম, লক্ষ্যনিষ্ঠা এবং মানসিক দৃঢ়তা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “যদি ছোটবেলায় কেউ বলে ক্রিকেটার হবো, জাতীয় দলে খেলব, অনেকেই হাসতো। তবে স্বপ্ন দেখার ক্ষেত্রে বড় দৃষ্টি রাখা উচিত। বড় স্বপ্ন দেখো এবং অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম কর।”
এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন যে খেলাটিও উপভোগ করা দরকার। কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি খেলার আনন্দকে উপেক্ষা করলে দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য পাওয়া কঠিন।
আরও পড়ুন: