যেকোনো পজিশনে ব্যাটিংয়ের সক্ষমতার কথা জানালেন জাকের আলী

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:০৮

শেয়ার

যেকোনো পজিশনে ব্যাটিংয়ের সক্ষমতার কথা জানালেন জাকের আলী
দলের প্রয়োজনে যেকোনো পজিশনে খেলতে প্রস্তুত জাকের। ছবি:সংগৃহীত। 

বাংলাদেশ দলে জাকের আলি অনিককে অনেক সময়ই ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকায় খেলতে দেখা যায়। মূলত ফিনিশার হিসেবেই তার খ্যাতি, তবে দলের প্রয়োজনে টপ অর্ডার থেকে নিচের সারি যে কোনো পজিশনে ব্যাট হাতে নামতে প্রস্তুত থাকেন তিনি। ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন দলের এক নির্ভরযোগ্য ব্যাটার। তাই স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা ছিল, আসন্ন এশিয়া কাপ ও নেদারল্যান্ডস সিরিজে তাকে কোন ভূমিকায় দেখা যাবে। আজ (১৮ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে এসে সে বিষয়েই মুখ খুললেন এই হার্ডহিটার।

 

সংবাদ সম্মেলনে জাকেরকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয় তার ব্যাটিং ভূমিকা নিয়ে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, নির্দিষ্ট কোনো গোল বা পজিশন নিয়ে তিনি চিন্তিত নন। “টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রতিদিনের চিত্র বদলায়। কখনো আমাকে ওপেন করতে হতে পারে, কখনো মিডল অর্ডারে, আবার কখনো ফিনিশার হিসেবেও নামতে হয়। তাই আমার লক্ষ্য সবসময় দলের প্রয়োজনে সাড়া দেওয়া। আলাদাভাবে নিজের জন্য লক্ষ্য ঠিক করি না,” বলেন জাকের।

 

ফিনিশার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়েও কথা বলেন তিনি। “যখন পরিস্থিতি চায় দ্রুত রান, তখন সেটাই করার চেষ্টা করি। আবার যদি শুরুতে নামতে হয়, ইনিংস গড়ার দিকেও মনোযোগ দিই। এটা আসলে ম্যাচের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে,” যোগ করেন তিনি।

 

এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট কিংবা নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ যেখানেই হোক, জাকের নিজের ব্যাটিং রোলকে দেখছেন দলের কৌশলগত অস্ত্র হিসেবে। তার মতে, বহুমুখী ভূমিকায় অভ্যস্ত হওয়াই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টিকে থাকার পথ।

 

সংবাদ সম্মেলনে শুধু ব্যাটিং নয়, উঠে আসে অনুশীলনে যুক্ত হওয়া নতুন কোচদের প্রসঙ্গও। সম্প্রতি বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছেন পাওয়ার হিটিং বিশেষজ্ঞ জুলিয়ান উড। আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেখানে লম্বা ছক্কা মারার ক্ষমতাই ম্যাচ ঘোরানোর মূল হাতিয়ার, সেখানে উডের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ব্যাটারদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে বলে জানালেন জাকের। “জুলিয়ান আমাদের হিটিং স্কিল নিয়ে কাজ করছে। কে কোথায় উন্নতি করতে পারে, কোন জায়গায় শক্তি বাড়ানো দরকার এসব নিয়ে কাজ হচ্ছে,” মন্তব্য করেন তিনি।

 

ফিটনেস নিয়েও চলছে নতুন ধারা। কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেলি খেলোয়াড়দের জন্য একটি মানদণ্ড দাঁড় করিয়েছেন। প্রতিটি অনুশীলনে ট্র্যাকার ব্যবহার করা হয়, তবে কার অবস্থান শীর্ষে সেটি নয়, বরং কে বেশি চেষ্টা করছে সেটিই কেলির কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান জাকের।