শিরোনাম
.jpg)
অল্প রানে লড়াই জমলেও ফল মেলেনি সোহানদের। ছবি: সংগৃহীত।
ডারউইনের টিআইও স্টেডিয়ামে আজ (১৭ আগস্ট) এক অনিশ্চিত লড়াইয়ের ছবি আঁকল বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বোলাররা। শুরুতে রীতিমতো ছোবল দিলেন হাসান মাহমুদ, রকিবুল হাসান আর নাঈম হাসান। তবু শেষ হাসিটা হেসেছে স্বাগতিক পার্থ স্কর্চার্স একাডেমি।
বাংলাদেশের দেওয়া সামান্য লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেই হোঁচট খায় পার্থ। দ্বিতীয় ওভারেই বোল্ড হয়ে ফিরলেন ওপেনার ব্যাক্সটার হল্ট, শিকারী হাসান মাহমুদ। এরপর চাপ বাড়ান রকিবুল। ষষ্ঠ ওভারে আঘাত হেনে ফেরালেন জেয়ডন গুডউইনকে। নিজের পরের স্পেলে আরেকটি উইকেট তুলে নিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের আশার প্রদীপ তখনও জ্বলছিল। নাঈম হাসান আক্রমণে এসে ফিরিয়ে দেন অভিজ্ঞ টেগ উইলি এবং নিকোলাস হবসনকে। ৪৭ রানের মধ্যেই স্কর্চার্স হারায় ৩ উইকেট, পঞ্চাশের আগেই স্কোরবোর্ডে লাল সংকেত। লড়াই জমে উঠলেও শেষ পর্যন্ত গতি ধরে রাখতে পারেনি টাইগার বোলাররা।
সেই সুযোগটাই কাজে লাগান জোয়েল কার্টিস ও ম্যাথু স্পুর্স। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তারা দ্রুত চাহিদামাফিক রান তুলে নেন। কার্টিস ৩৩ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন হাতে। অন্য প্রান্তে স্পুর্স খেলেন ১৭ বলে ২৮ রানের দাপুটে ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ১২ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে পার্থ স্কর্চার্স একাডেমি।
বাংলাদেশের হয়ে রকিবুল ও নাঈম শিকার করেন দুটি করে উইকেট। হাসান মাহমুদ নেন একটি। তবে দলের লড়াইকে প্রতিপক্ষের শেষ জুটির কাছে ভেসে যেতে হলো।
এর আগে ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থতায় ভুগেছে সোহানের দল। শুরুতেই ভেঙে পড়ে টপঅর্ডার। নাঈম শেখ (৬ বলে ৫), সাইফ হাসান (২ বলে ১), জিসান আলম (১৩ বলে ৯) দ্রুত ফিরেন। একপ্রান্ত ধরে রাখেন আফিফ হোসেন, কিন্তু সঙ্গ মেলেনি। মাহিদুল অঙ্কন (১১ বলে ৬), সোহান (১৬ বলে ১৪), তোফায়েল (৮ বলে ১) কারও ব্যাটেই ভরসা মিলেনি।
শেষদিকে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী এক ছক্কায় চেষ্টা করেছিলেন (৮ বলে ১৪), কিন্তু বেশিক্ষণ টেকেননি। নাঈম হাসানও ফিরেছেন খালি হাতে। শেষ ওভারে রকিবুল (৫ বলে ১৬) আর হাসান মাহমুদ মেরেছেন কিছু বাউন্ডারি, তাতেই মোট দাঁড়ায় ১২৩ রান। অপরাজিত আফিফ করেছিলেন সর্বোচ্চ ৪৯ বলে ৪২।
তবে এত স্বল্প রানে লড়াই জমাতে পারলেও, জয়ের সমীকরণ মেলাতে পারেনি বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তিন ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় হারে, আর টুর্নামেন্টের শেষ চারে ওঠার পথ এখন বেশ কঠিন।
আরও পড়ুন: