শিরোনাম
.jpg)
ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে নেপালকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল বাংলাদশ 'এ'। ছবি: সংগৃহীত।
প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান শাহীন্সের কাছে হারের তিক্ত স্বাদ ভুলে টুর্নামেন্টে ফিরতে আজ (১৬ আগস্ট) মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডের দুই নম্বর মাঠে নেপালের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ‘ব্যাট ফ্লিপ’ জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। জাতীয় দলে খেলা একঝাঁক ক্রিকেটার নিয়েও নির্ধারিত ২০ ওভারে জিসানের ৭১ এবং আফিফের অপরাজিত ৪৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৮৬ রান তুলতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ।
ওপেনিংয়ে টানা ব্যার্থতার বৃত্তে ঘুরতে থাকা নাঈম শেখ আজকে ২৫ রান করলেও খরচ করেছেন ১৮ বল। একবার ‘জীবন’ পেয়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। আর যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন নেপালের বোলারদের সামনে তার অস্বস্তি ছিল দৃষ্টিকটু। ঢিমেতালে খেলা এই ইনিংস থামে লামিচানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে। নাঈমের আউটে ওপেনিং জুটি থামে ৬২ রানে। ওপেনিংয়ে ব্যর্থতার সিলসিলায় এটি একটি ইতিবাচক দিক বটে।
আরেক ওপেনার জিসান আলম খেলেছেন তার স্বভাবগত ইনিংস। মারকুটে ব্যাটিংয়ে ৫ ছক্কা ও ৪টি চারে করেছেন ৭১ রান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাইফ হাসানকে নিয়ে তুলেছেন ৪৯ রান। সেঞ্চুরির পথে থাকা জিসান আচমকাই যাদবের এক ফুলটস ক্রসব্যাটে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে গেছেন। এলবিডব্লিউর আবেদন করলে আম্পায়ার আঙুল তুলতে এক মুহূর্তও দেরি করেননি।
জিসানের পর দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাইফ হাসান। ১১ বলে ১১ রান করেছেন তিনি। ক্যাপ্টেন নুরুল হাসান সোহানো এদিন সুবিধা করতে পারেননি। ১১ বল খেলে আউট হয়ার আগে কপ্রতে পেরেছেন মোটে ৫ রান।
জিসানের পর একমাত্র দৃঢ়তার সাথে ব্যাটিং করে গেছেন আফিফ হোসেন। ২০৮ স্ট্রাইক রেটের ঝড়ো ইনিংসে ছিল না একটি ছক্কাও। তবে তার ৯টি বাউন্ডারিতে ছিল ছোখ ধাঁধানো সব ক্লাসিক শট আর বুদ্ধিদীপ্ত কিছু চিকি। মাত্র ২৩ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন। ফিফটি মিস হওয়ার আক্ষেপ থাকবে পর্যাপ্ত স্ট্রাইক না পাওয়ায়। তবে দলের প্রয়োজনে শেষ বল পর্যন্ত বাউন্ডারি মেরেছেন আফিফ। সমর্থকরা নেপালের বিপক্ষে ২০০+ রান আশা করলেও বাকিদের ব্যর্থতায় আফিফের ব্যাটে চড়েই ১৮৬ রান তুলেই সমর্থ হয় বাংলাদেশ।
নেপালের হয়ে রিজান ধাকাল ৩৪ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নিয়েছেন। হিমালয়ের কোলঘেঁষা নেপালের জিততে হলে চাই ১৮৭ রান।
আরও পড়ুন: