শিরোনাম
.jpg)
বিসিবির দুই নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক ও গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে মাঠের খেলা যেমন ব্যস্ততায় ভরপুর, তেমনি নির্বাচকদের দিনকালও কাটছে টানা চাপে। জাতীয় দল, ‘এ’ দল, হাই পারফরম্যান্স ইউনিট থেকে শুরু করে ঘরোয়া টুর্নামেন্ট, সবখানেই চলছে একের পর এক সিরিজ ও প্রতিযোগিতা। অথচ এতগুলো দলের জন্য ক্রিকেটার বাছাইয়ের দায়িত্ব এখন কার্যত মাত্র দুই নির্বাচকের কাঁধে।
জাতীয় দলে নিয়মিত খেলোয়াড় আছেন প্রায় ৩০ জন, ‘এ’ দল ও এইচপি ইউনিট মিলিয়ে আরও কয়েক ডজন। তার বাইরে এনসিএল টি–টোয়েন্টিতে প্রতিটি বিভাগে ৩০ জন করে খেলোয়াড়, সেখান থেকেও বের করতে হচ্ছে জাতীয় লিগের স্কোয়াড। সবমিলিয়ে একশরও বেশি ক্রিকেটারকে নজরে রেখে সঠিক সময়ে সঠিক দল গঠন করা এক বিশাল কাজ। কিন্তু দায়িত্ব পালন করছেন কেবল প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু এবং সাবেক বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক।
গত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচকের দায়িত্ব ছেড়ে কোচিংয়ে মনোযোগী হয়েছেন হান্নান সরকার। তাঁর বিদায়ের পর থেকে নির্বাচক প্যানেল কার্যত দুইজন দিয়েই চলছে। তৃতীয় একজনকে অন্তর্ভুক্ত করার আলোচনা উঠলেও সেটি এখনও বাস্তবে রূপ নেয়নি। ফলে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া সিরিজে একসঙ্গে দল গঠনের চাপ পড়ছে এই দুই নির্বাচকের ওপরই।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের খেলার সূচি ছিল একেবারেই ঠাসা। জাতীয় দল খেলেছে জিম্বাবুয়ে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে আরেকটি সিরিজ। অন্যদিকে ‘এ’ দল মোকাবিলা করেছে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ এবং বর্তমানে খেলছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হাই পারফরম্যান্স দলের সিরিজও গঠন করতে হয়েছে একই সময়ে। প্রতিটি স্কোয়াড তৈরির পাশাপাশি খেলার মাঠে ছুটে গিয়ে প্রতিভা পর্যবেক্ষণও বাদ যায়নি।
এই অবস্থায় বিসিবি চাপ কমাতে ভিন্ন পরিকল্পনায় এগোচ্ছে। জাতীয় লিগের ম্যাচগুলো সরাসরি নির্বাচকদের না দেখে পাঠানো হচ্ছে গেম ডেভেলপমেন্ট ইউনিটের দুই কোচ, ওয়াহিদুল গণি ও গোলাম ফারুককে। আগের চার দিনের আসরেই এভাবে ম্যাচ পর্যবেক্ষণের রীতি শুরু হয়েছিল, এবার সেটিই আরও নিয়মিত করার চিন্তা করছে বোর্ড।
আরও পড়ুন: