শিরোনাম
.jpg)
লেভেল–২ কোচিং কোর্স সম্পন্ন করলেন আকবর আলী। ছবি: সংগৃহীত।
২৩ বছর বয়সী আকবর আলীকে বাংলাদেশ ক্রিকেট ভক্তরা চেনেন মূলত সেই অধিনায়ক হিসেবে, যিনি ২০২০ সালে দেশের হয়ে প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক না হলেও ইতোমধ্যেই ইতিহাস গড়ে রাখা এই তরুণ এবার ভিন্ন এক পথে যাত্রা শুরু করেছেন। খেলোয়াড়ি জীবনের পাশাপাশি নিজের দক্ষতা বাড়াতে ইংল্যান্ডে সম্পন্ন করেছেন লেভেল–২ ক্রিকেট কোচিং কোর্স।
ক্রিকেট কোচিংয়ের প্রাথমিক ধাপ হলো লেভেল–১, যেখানে মূলত নতুনদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কৌশল শেখানো হয়। এরপরের ধাপ লেভেল–২, যেখানে কোচিং কার্যক্রম বিস্তৃত হয় কলেজ, যুব বা মধ্যম স্তরের খেলোয়াড়দের জন্য। ব্যবহারিক কর্মশালা, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিকল্পনা প্রণয়ন, খেলোয়াড়দের শারীরিক বৃদ্ধি–পরিপক্বতা এবং একজন কোচের বহুমাত্রিক ভূমিকা, সবকিছু নিয়েই সাজানো থাকে এই কোর্স। আকবর সেখান থেকেই নিজের ক্রিকেটজীবন আরও সমৃদ্ধ করার হাতিয়ার খুঁজে পেয়েছেন।
আকবরের ব্যাচের বেশ কয়েকজন সতীর্থ ইতোমধ্যেই জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন। তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, শরিফুল ইসলাম কিংবা শামীম হোসেনরা নিয়মিত জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামছেন। অন্যদিকে শাহাদাত হোসেন দিপু ও মাহমুদুল হাসান জয়ও সুযোগ পেয়েছেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে। অনেকেই আছেন জাতীয় দলের পাইপলাইনে। কিন্তু আকবর নিজের পথ বেছে নিয়েছেন খানিক ভিন্নভাবে। তিনি বিশ্বাস করেন, কোচিংয়ের শিক্ষা তাঁকে নিজের খেলার মানোন্নয়নে যেমন সাহায্য করবে, তেমনি খেলাটিকে বোঝার ক্ষেত্রেও দেবে বাড়তি গভীরতা।
ঘরোয়া ক্রিকেটে যদিও তিনি এখনও নিয়মিত। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে করেছেন প্রায় এক হাজার রান, লিস্ট–এতে খেলেছেন নব্বইয়ের বেশি ম্যাচ, আর টি–টোয়েন্টিতে প্রমাণ করেছেন দ্রুত রান তোলার ক্ষমতা। তবে ব্যাটিং–উইকেটকিপিংয়ের পাশাপাশি তিনি যে খেলাটিকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখছেন, সেটিই তাকে আলাদা করেছে। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই খেলোয়াড়ি জীবনের পাশাপাশি কোচিংয়ে হাতেখড়ি নেওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।
আরও পড়ুন: