শিরোনাম

শিরোপা জয়ের পর উল্লসিত টাইগার যুবারা। ছবি: সংগৃহীত।
পুরো সিরিজজুড়ে আধিপত্য দেখিয়ে জিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল জিতে নিল যুবা টাইগাররা। টসে হেরে আগে ব্যাট করে ২৭০ রানের লক্ষ্য দিয়ে প্রোটিয়াদের ২৩৬ রানের মধ্যে বেঁধে ফেলে টাইগার বোলাররা। ব্যাট হাতে রিজান হোসেন ৯৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পর বল হাতে তুলে নিয়েছেন ফাইফার। সঙ্গে ছিল উইকেট পাওয়া আল-ফাহাদের মিতব্যায়ী স্পেল। লম্বা টুর্নামেন্ট জুড়ে একঝাঁক তরুণ পারফর্মারদের দলগত নৈপুণ্যে শিরোপা যোগ্য হাতেই উঠেছে তার প্রমাণ দিল আরও একবার বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল।
২৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং শুরু করে ওপেনার আদনান লাগাদিয়েন। দলীয় ৫৯ রানে আল ফাহাদের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান আদনান। ৭ চার ও ১ ছয়ে ৩১ বলে ৪০ রান করেন তিনি।
দশম ওভারে আবারও আঘাত হানেন ডানহাঁতি মিডিয়াম পেসার আল ফাহাদ। ফন শাল্কউইককে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন বুলবুলিয়া আর রাউলস ৪৫ রানের জুটি গড়েন এই জুটি যেভাবে রান তুলছিল তাতে মনে হচ্ছিল সহজ জয়ের পথেই এগুচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
তখনই ব্রেক থ্রু এনে দেন রিজান হোসেন। প্রোটিয়া অধিনায়ক বুলবুলিয়াকে ক্লিন বোল্ড করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান ব্যাট হাতে ৯৫ রান করা এই অলরাউন্ডার। ৪৩ বলে ৩১ রান করেছিলেন মোহাম্মদ বুলবুলিয়া। এরপর আরমান মানাককেও প্যাভিলিয়নের পথ দেখান রিজান।
জেসন রাউলসকে ফেরান লেগস্পিনার স্বাধীন ইসলাম। কালাম সিদ্দিকীর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ব্যাক্তিগত ৩৫ রানে ফিরে যান রাউলস।
এই জুটির পর খেলার খেই হারিয়ে বসে প্রোটিয়া ব্যাটাররা। এই সুযোগে চাপ সৃষ্টি করে টাইগার বোলাররা তাই আস্কিং রানরেটও বাড়তে থাকে পাল্লা দিয়ে। এই সুযোগে উইকেটও পড়তে থাকে নিয়মিত।
তবে একসময় ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়া প্রোটিয়াদের ম্যাচে ফেরান এমবাথা এবং সোনি। বল হাতে ভোগানোর পর ব্যাট হাতেও টাইগার বোলারদের মাথাব্যাথা হয়ে দাঁড়ানো এমবাথাকে ফেরাতে আবারও আঘাত হানেন রিজান হোসেন। এই এমবাথাই রান আউট করেছিল রিজানকে। তার চমৎকার প্রতিশোধ তুলে নিতে ভুল করলেন না এই যুবা অল-রাউন্ডার।
টাইগারদের দিকে হেলে পড়া ম্যাচে প্রোটিয়া শিবিরের পালে হালকা হাওয়া জাগান এনটান্ডো সোনি, তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে একসময় সমীকরণ চোখ রাঙাচ্ছিল বাংলাদেশ দলে। কিন্তু এদিন ম্যাচের নায়ক একমাত্র রিজান হোসেন এই সমীকরণ উড়িয়ে দিয়ে ম্যাচ জয় নিশ্চিত করেন। শাহরিয়া’র হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন সোনি। ৩২ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ রান করেন সোনি।
এরপর মাজোলার উইকেট নিয়ে তুলে নেন ফাইফার। মাত্র ৫ রানের জয় সেঞ্চুরি মিস করা রিজান ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের পুরো লাইমলাইটটাই নিজের করে নিলেন রিজান। ৩৪ রান খরচায় ১ মেডেন দিয়ে ফাইফার তুলে নিয়েছেন তিনি।
টাইগার বোলারদের মধ্যে আল-ফাহাদ ৫০ রানে নিয়েছেন ৩টি উইকেট। এছাড়া স্বাধীন ইসলাম নিয়েছেন ৩৪ রানে ২ উইকেট।
পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে ঝলক দেখানো বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ ফাইনালেও দুর্দান্ত পারফর্ম করে শিরোপা জিতে জানান দিলো সামনের দিনগুলোর জন্য একঝাঁক পারফর্মার অপেক্ষা আসছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে।
আরও পড়ুন: