মিরপুরের উইকেট ভাল হলে ব্যাটিং গড় বাড়ত, ইমরুলের দাবি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ আগস্ট, ২০২৫ ২০:২৩

শেয়ার

মিরপুরের উইকেট ভাল হলে ব্যাটিং গড় বাড়ত, ইমরুলের দাবি
মিরপুরে খেলেই ব্যাটিং গড় কমেছে, ইমরুল কায়েসের মন্তব্য। ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে আবারও আলোচনায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট। দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই পিচ নিয়ে এবার মুখ খুললেন সাবেক জাতীয় দলের ব্যাটার ইমরুল কায়েস। তার মতে, উইকেটের মান খেলোয়াড়দের ব্যাটিং গড়কে সরাসরি প্রভাবিত করছে, যা আন্তর্জাতিক মানে প্রতিযোগিতায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

 

পিচ কিউরেটর পদে সম্প্রতি বড় পরিবর্তন এসেছে। প্রায় ১৫ বছর দায়িত্ব পালনের পর গামিনী ডি সিলভাকে সরিয়ে নতুন কিউরেটর হিসেবে যোগ দিয়েছেন টনি হেমিং। টনি অবশ্য ২০২৩-২৪ মৌসুমেও সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বাংলাদেশে কাজ করেছিলেন। এবার তার সামনে চ্যালেঞ্জ মিরপুরের উইকেটের মানোন্নয়ন।

 

ইমরুল মনে করেন, যদি মিরপুরের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক মানের উইকেটে খেলতে পারত বাংলাদেশি ব্যাটাররা, তবে তাদের ব্যাটিং গড় অন্তত চার থেকে পাঁচ রান বেশি হতে পারত। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, তিনি নিজে, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং গড় আরও উন্নত হতে পারত যদি নিয়মিত চট্টগ্রামের মতো ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে খেলার সুযোগ থাকত। “আমরা যারা খেলেছি, আমি এখনো মনে করি আমাদের গড় চার-পাঁচ রান বেশি হতে পারত যদি চট্টগ্রামের মতো উইকেটে খেলতাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উইকেট ওই রকমই হয়,” বলেন ইমরুল।

 

তার মতে, মিরপুরের ধীর ও স্পিনসহায়ক উইকেটে বেশি ম্যাচ খেলার কারণে অনেক ব্যাটারের গড় ৩০-এর নিচে নেমে এসেছে। যদিও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৩০-৩২ রান গড় খারাপ নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে থাকার জন্য ৩৫-৪০ রান গড় থাকা প্রয়োজন।

 

ইমরুলের পর্যবেক্ষণে, উইকেটের মান ভালো হলে বাংলাদেশের ব্যাটাররা শুধু ঘরোয়া নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও আরও ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখাতে পারত। তাই নতুন কিউরেটরের নিয়োগকে তিনি ইতিবাচকভাবে দেখছেন, তবে পাশাপাশি উইকেটের প্রকৃত পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তাও জোর দিয়ে বলেছেন।

 

বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটি শুধু একটি টেকনিক্যাল পরিবর্তন নয়, বরং পারফরম্যান্সের দীর্ঘমেয়াদি উন্নতির জন্য একটি জরুরি পদক্ষেপ হতে পারে। মিরপুরের উইকেট যদি আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরিত হয়, তবে ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাস, গড় ও সাফল্যের হার সবই বাড়বে বলে আশা করছেন সাবেক এই ব্যাটার।