এনসিএল দিয়ে ক্রিকেটে ফিরছেন যুব এশিয়া কাপ জয়ী বর্ষণ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:৪৪

আপডেট: ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:৪৯

শেয়ার

এনসিএল দিয়ে ক্রিকেটে ফিরছেন যুব এশিয়া কাপ জয়ী বর্ষণ
দীর্ঘ ইনজুরির পর ফিরছেন রংপুরের তরুণ পেসার বর্ষণ। ছবি: সংগৃহীত।

২০২৩ সালে বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দল যখন এশিয়া কাপ জয়ের গৌরব অর্জন করেছিল, তখন তার অগ্রদূত ছিলেন ডানহাতি পেসার রোহানাত দৌলা বর্ষণ। অল্প সময়েই নিজের ধারালো বোলিং দিয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেওয়া এই তরুণ ক্রিকেটারটি গত এক যুগের মধ্যে অন্যতম প্রতিভাবান মুখ। তবে ২০২৪ সালের বিপিএল পর্যন্ত খেলা সত্ত্বেও দীর্ঘ পায়ের ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে দীর্ঘ সময় কাটাতে হয়েছে তাকে।

 

গত বছরের ডিপিএলে কয়েকটি ম্যাচ খেললেও এরপর থেকে ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে ইনজুরির সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন বর্ষণ। তবে এবার এনসিএল (ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ) টি-টোয়েন্টি দিয়ে ফেরার আশার আলো দেখছেন ২০ বছর বয়সী এই পেসার। বর্তমানে এইচএসসি পরীক্ষা চলার কারণে পড়াশোনায় মন দেওয়ার পাশাপাশি মাঠে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তিনি। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া এনসিএল টি-টোয়েন্টি তার প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ হতে পারে।

 

গণমাধ্যমকে বর্ষণ জানান, “আলহামদুলিল্লাহ, এখন ভালো আছি। বোলিংয়ের পুরো রিদমে ফিরে এসেছি, কোনো সমস্যাও হচ্ছে না। ফিজিও, ট্রেনার আর ডাক্তারদের সিগন্যাল পেলে এনসিএল দিয়ে ফেরার ইচ্ছে রয়েছে। যদি কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারি, সেটা আমার বিপিএল খেলার জন্যও সহায়ক হবে।”

 

এনসিএলে নিজ জেলা রংপুরের হয়ে খেলতে চান বর্ষণ। মাঠের বাইরে দীর্ঘ সময় থাকার ক্ষোভ ও হতাশা মিশিয়ে বললেন, “১৫-১৬ মাস ধরে মাঠের বাইরে আছি। গতবার ইনজুরির কারণে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারিনি, এবারও যাওয়ার সুযোগ হয়নি। এটা অবশ্যই কষ্টদায়ক।”

 

তবুও মনোবল হারাতে দেননি নিজেকে। “মাঝে মাঝে মন খারাপ হয়, তবে কিছুক্ষণ পর ভালো হয়ে যায়। কারণ জানি সুস্থ থাকলে নিজেকে প্রমাণ করতে পারব। অন্যরা ভালো করলেও হিংসা হয় না, বরং ভালোবাসা। আমি যদি সুস্থ থাকি, আমিও ওদের মতো পারব,” বললেন তরুণ এই পেসার।

 

এখন পর্যন্ত লিস্ট ‘এ’ শ্রেণির ৬টি ও টি-টোয়েন্টির ২টি ম্যাচ খেলেছেন বর্ষণ, যেখানে পেয়েছেন ৬ উইকেট। ২০২৩ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে দেশের হয়ে দ্বিতীয় সেরা বোলার ছিলেন তিনি। কেবল শেখ পারভেজ জীবন তার ওপরে ছিলেন, যিনি এক ম্যাচ বেশি খেলে ১০ উইকেট নেন।