নতুন কিউরেটর হয়ে এলেন ‘পুরনো’ টনি হেমিং

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৭ আগস্ট, ২০২৫ ২২:১৫

শেয়ার

নতুন কিউরেটর হয়ে এলেন ‘পুরনো’ টনি হেমিং
উইকেট চ্যালেঞ্জে বিসিবির ভরসা টনি হেমিং। ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে উইকেট নিয়ে দীর্ঘদিনের আলোচনার মাঝেই ফিরছেন এক পুরনো মুখ স্বনামধন্য কিউরেটর টনি হেমিং। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দায়িত্ব পালন করে ইতিমধ্যেই দেশের মাঠ ব্যবস্থাপনায় সুনাম কুড়ানো এই অস্ট্রেলিয়ান এবার দ্বিতীয়বারের মতো যুক্ত হচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে।

 

এক সময় সিলেটের উইকেট ছিল দেশের মাঠগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রশংসিত। আর সেই মাঠ গড়ার নেপথ্যে ছিলেন যিনি, সেই হেমিংকে এবার নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিসিবি সূত্রে খবর, আগামীকাল (৮ আগস্ট) রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন হেমিং।

 

উল্লেখযোগ্যভাবে, হেমিং এর আগেও বিসিবির অধীনে কাজ করেছেন। তবে শেষবার বেশ হতাশ হয়েই চাকরি ছেড়ে পাকিস্তান পাড়ি জমান তিনি। সেখানে পিসিবির অধীনে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের কিউরেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এবার আবারও বাংলাদেশের ডাক পেয়েছেন তিনি।

 

এই প্রত্যাবর্তনের পেছনে বড় কারণ, মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে চলমান অসন্তোষ। পাকিস্তানের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিরিজে উইকেট নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ জানিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম। উইকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দুজনেই। তারা তখনই জানিয়েছিলেন, বিকল্প ভাবা হচ্ছে।

 

গামিনি ডি সিলভা বর্তমানে বিসিবির প্রধান কিউরেটর হিসেবে দায়িত্বে থাকলেও হেমিংয়ের আগমনে তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত গামিনির বিদায়ের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।

 

হেমিংয়ের ফেরার মাধ্যমে বিসিবির পরিকল্পনায় যে বড় কোনো রদবদল আসতে চলেছে, তা স্পষ্ট। আন্তর্জাতিক মানের উইকেট গঠনের লক্ষ্যে এবার হয়তো হেমিংকে আরও বড় পরিসরে কাজে লাগাতে চায় বিসিবি।

 

সিলেট স্টেডিয়ামের সফল অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি ম্যাচগুলো সেখানেই আয়োজন করেছিল বিসিবি। সেই সিদ্ধান্তকে অনেকে বলছেন হেমিংয়ের রেখে যাওয়া কাজের প্রতি সম্মান জানানো। এবার আবারও সেই বিশ্বাসের প্রতিদান দিতে চলেছেন হেমিং।

 

বাংলাদেশের ক্রিকেটের কাঠামোগত উন্নয়নে মাঠ ও উইকেট ব্যবস্থাপনাও যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই উন্নয়নের চাবিকাঠি হতে পারেন টনি হেমিং।