সানজিদের বামহাতের জাদুতে ১৪৭ রানে গুটিয়ে গেল প্রোটিয়া যুবারা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৩০

আপডেট: ৬ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৩৩

শেয়ার

সানজিদের বামহাতের জাদুতে ১৪৭ রানে গুটিয়ে গেল প্রোটিয়া যুবারা
সানজিদের ঘূর্ণি জাদুতে ১৪৭ রানে শেষ প্রোটিয়া যুবাদের ইনিংস। ছবি: সংগৃহীত।

জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে তৃতীয়বারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা প্রোটিয়ারা টাইগার যুবাদের ধারালো বোলিং আক্রমণের মুখে মাত্র ১৪৭ রানে গুটিয়ে গেছে। এক পর্যায়ে ৪৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০০ রানের আগেই প্রতিপক্ষকে বেঁধে ফেলার সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশ বোলারদের সামনে। কিন্তু মাঝের ধীর গতির প্রতিরোধ গড়েন পল জেমস ও ব্র্যান্ডাইল এমবাথা।

 

প্রথম থেকেই দারুণ ধারায় শুরু করেন বোলাররা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ইকবাল হোসেন ইমন শিকার করেন ওপেনার জোরিচ ভ্যান শালকওইককে। এক ওভার পরই আল ফাহাদ আঘাত হানেন, ফিরিয়ে দেন আদনান লাগাডিয়েনকে। দ্রুতই ২৫ রানে ৩ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা চাপে পড়ে যায়। এর মাঝে বাঁহাতি স্পিনার সানজিদ মজুমদার তার ঘূর্ণি জাদু ছড়িয়ে একে একে তুলে নেন চারটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট জেসন রওলস, কামো ফিরি, ড্যানিয়েল বসম্যান ও ইনাথি কিটশিনি।

 

সানজিদের বোলিং ছিল নিয়ন্ত্রিত ও ধারাবাহিক। ৮ ওভার বল করে মাত্র ৩৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেওয়া এটাই তার অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের সেরা বোলিং ফিগার। লেন্থে বৈচিত্র্য, টার্নে চাতুর্য এবং ব্যাটসম্যানকে ভুল শটে প্রলুব্ধ করার কৌশল সব মিলিয়ে প্রোটিয়া ব্যাটারদের জন্য তিনি হয়ে ওঠেন দুর্ভেদ্য।

 

তবে চাপের মধ্যে পড়েও লড়াই চালিয়ে যান পল জেমস ও ব্র্যান্ডাইল এমবাথা। সপ্তম উইকেটে তারা দলকে টেনে নেন ১১৪ রানের ঘরে। এমবাথা ছিলেন তুলনামূলক ইতিবাচক, তবে জেমস খেলেন একেবারে ধীরগতির ইনিংস। তাদের এই জুটিই বাংলাদেশের হাতে থেকে ম্যাচের আগাম নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনাকে কিছুটা কমিয়ে দেয়। অবশেষে আল ফাহাদ ফের আঘাত হেনে জেমসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন।

 

শেষের কাজটা সারেন ডানহাতি পেসার সামিউন বশির। ব্র্যান্ডাইল এমবাথা ও এনাতি সোনিকে ফিরিয়ে দিয়ে প্রোটিয়াদের ইনিংস গুটিয়ে দেন তিনি। ফাহাদ শেষ করেন ৮ ওভারে ২০ রানে ২ উইকেট, আর বশির নেন ৬.২ ওভারে ২৩ রানে ২ উইকেট।

 

দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে সর্বোচ্চ রান আসে এমবাথার ব্যাট থেকে ৩৯ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জেমসের ৩৩। আর কেউই সুবিধা করতে পারেননি টাইগারদের ক্ষুরধার বোলিংয়ের সামনে।

 

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার ছুঁড়ে দেওয়া ১২৯ রানের লক্ষ্যে পৌঁছতেই ৯ উইকেট হারাতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। আজকের লক্ষ্যটা তুলনামূলক বড় হলেও প্রতিপক্ষ আবারও দাঁত কামড়ে লড়াই করতে পারে এমন সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বোলাররা কাজটা দারুণভাবে করেছেন, এখন ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব সেটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করা।