শিরোনাম

মাঠে ফিরছেন বিশ্বকাপজয়ী অভিষেক দাস। ছবি: সংগৃহীত।
সময়টা ছিল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি। দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে যে সাফল্য এসেছিল, তা দেশের ক্রিকেটের বাঁকে এক সোনালি অধ্যায়। সেদিন বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন অভিষেক দাস অরণ্য। অথচ আলোটা ঠিক এসে পড়েনি তার গায়ে। আর এরপর? কেবলই অপেক্ষা, শারীরিক যন্ত্রণা আর হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা।
নড়াইলের এই প্রতিভাবান অলরাউন্ডার বিশ্বকাপ জয়ের পরপরই পড়ে যান চোটে। ইনজেকশন, ফিজিওথেরাপি, রিহ্যাব সব কিছুর পরও ফেরা হয়নি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে। বিসিবির পরিকল্পনায় তাকে দুবাইয়ে পাঠানোর কথা থাকলেও শেষমেশ চিকিৎসা হয় ভারতের একটি হাসপাতালে। এরপর একমাত্র লিস্ট-এ ম্যাচ খেলেছিলেন ২০২০ সালের মার্চে। এরপর একবার শুধু ব্যাটার হিসেবে খেলেছেন ২০২২ সালের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে।
সেই শেষ। এরপর শুধু লড়াই। খেলার মাঠ নয়, চিকিৎসা কক্ষ আর পুনর্বাসন কেন্দ্রে দিন কাটিয়েছেন এই তরুণ। তার প্রত্যাবর্তনের গল্পটা তাই শুধুই ক্রিকেট নয়, মানসিক দৃঢ়তারও এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
সবশেষ আশার খবর, সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে আবার ফিরতে যাচ্ছেন অভিষেক দাস। নিজেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আগের থেকে অনেকটাই ভালো বোধ করছি। এখন নিয়মিত বোলিং করতে পারছি, ব্যাটিংয়েও জোর দিচ্ছি। আমি অলরাউন্ডার হিসেবেই ফিরতে চাই।’
এই ফিরতে চাওয়ার পেছনে লেগে আছে চার বছরের জেদ। এই সময়ের মধ্যে অনেকেই তাকে হয়তো ভুলে গেছেন, কিন্তু ক্রিকেট ভুলেনি অভিষেকের বিশ্বকাপ ফাইনালের বলগুলো। এখনও সে দিনগুলোর স্মৃতি টিকে আছে অনেকের মনে।
একসময় যিনি দেশের ক্রিকেটের সম্ভাবনাময় অলরাউন্ডার হিসেবে ধরা দিচ্ছিলেন, তার ক্যারিয়ার আটকে গিয়েছিল একটি চোটেই। তবে যদি এবার মাঠে ফেরা হয়, তাহলে সেটা শুধু একজন খেলোয়াড়ের প্রত্যাবর্তন নয় একটা অসমাপ্ত গল্পের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরুও হবে।
ক্রিকেটে ফিরে তিনি কতটা সফল হবেন, সেটা সময়ই বলবে। তবে অভিষেকের প্রত্যাবর্তনটাই আপাতত আশার আলো ছড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: