শিরোনাম

ইনসুইং-আউটসুইং এর স্কিল আরও ধারালো করতে শৈশবের কোচ আলমগীর কবিরের দ্বারস্থ হয়েছেন 'স্পিডস্টার' নাহিদ রানা। ছবি: সংগৃহীত।
শ্রীলঙ্কা সফরে গতি ছিল, তবু সাফল্যের চিত্রটা কিছুটা বিবর্ণ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শুরুর ঝলক দেখানো নাহিদ রানার জন্য সেটি ছিল যেন বাস্তবতার প্রথম ধাক্কা। তবে এই তরুণ পেসারের আশার আলো জ্বলে অন্যখানে নিজেকে গড়ার প্রত্যয়ে ফের শৈশবের কোচের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ছুটি দিলেও চারদিনের বিরতিতে ব্যস্ত সময় কেটেছে নাহিদের। কোচ আলমগীর কবির জানালেন, ইনসুইং ও আউটসুইং নিয়েই ছিল মূল ফোকাস। শুরুর কোচ জানেন, কোথায় কোথায় ঘষামাজা দরকার।
আলমগীর বলছিলেন, “শ্রীলঙ্কায় কিছু জায়গায় ইমপ্রুভ করলে বাংলাদেশ উপকৃত হতো। ওকে ডেকে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ও আউটসুইং ভালো পারে, তাই ইনসুইং নিয়েই বেশি কাজ করেছি। ইনসুইংয়ে ওর পেস এবং কন্ট্রোলে ঘাটতি ছিল, সেখানে ড্রিল ও স্পট বোলিং করিয়েছি। উন্নতি চোখে পড়েছে। সামনে যদি সুযোগ পায়, আলোর ঝলকানি ফেরাতে পারবে।”
দেশের উইকেট আর বিদেশের পিচের পার্থক্য স্পষ্ট করে বুঝতে শিখছেন নাহিদ। ঘরোয়া ক্রিকেটে শর্ট অফ লেন্থে বল করেই ফল আসত। কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রয়োজন ভ্যারিয়েশনের, প্রয়োজন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার। এই উপলব্ধিই তাকে ফিরিয়ে এনেছে ছেলেবেলার সেই পরিচিত মাঠে, পুরনো কোচের কাছে।
নাহিদের নিজের অনুভূতিটাও ছিল স্পর্শকাতর, “আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে। ছোটবেলার মতই মনে হচ্ছে। যেভাবে একাডেমিতে কাজ করতাম, আবার সেই পরিবেশে কাজ করছি। যেন শৈশবে ফিরে গেছি।”
এখন শুধু স্কিল নয়, ফিটনেসেও বাড়তি মনোযোগ দিচ্ছেন নাহিদ। কোচের বিশ্বাস, সঠিক গাইডলাইনে থাকলে নাহিদ বাংলাদেশকে লম্বা সময় সার্ভিস দিতে পারবেন।
একজন তরুণ পেসারের বাস্তবতা বোঝা, ভুল স্বীকার করা এবং নিজেকে নতুন করে গড়ার চেষ্টা সব মিলিয়ে এটি একটি ইতিবাচক বার্তা। এই চারদিনের ঘাম ঝরানো অনুশীলনের ফল কতটা ধরা দেবে, তা সময়ই বলবে। তবে একটা ব্যাপার নিশ্চিত নাহিদ রানা হাল ছাড়ার ছেলে নন।
আরও পড়ুন: