শিরোনাম
.jpg)
তাসকিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তার ছোটবেলার বন্ধু সিফাতুর রহমান সৌরভ। অভিযোগে বলা হয়েছে, তাসকিন নিজেই ফোন করে ডেকে নিয়ে সৌরভকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং তাকে ভয়ভীতি দেখান। মিরপুর মডেল থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে করা এই অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঝড় তোলে, যেখানে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন তাসকিনের মতো একজন শান্ত স্বভাবের ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ শুনে।
তবে ঘটনার মোড় ঘুরেছে দ্রুতই। দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌরভ জানিয়েছেন, তাসকিনের ক্যারিয়ারের কথা মাথায় রেখেই তিনি অভিযোগ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। “আমার সঙ্গে তাসকিনের এখনও পুরোপুরি কথা হয়নি। তবে আমি নিশ্চিত, সে আমার আরেক বন্ধু মুশফিকসহ আমাদের সঙ্গে কথা বলে সব পরিষ্কার করবে। এরপরই আমি অভিযোগ প্রত্যাহার করব,” - বলেন সৌরভ।
তার ভাষ্য, “আমি অভিযোগ তুলব ঠিকই, তবে তার আগে তাসকিনের (তাজিম) সঙ্গে খোলামেলা কথা বলতে চাই। ও যেন অন্য বন্ধুর নামে মিথ্যা কথা না বলে, সেটাই চাই।”
তাসকিন অবশ্য শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন, যাতে কেউ গুজবে কান না দেয়। তিনি লিখেছেন, “অনুগ্রহ করে গুজবে কান দেবেন না। আমার সম্মান নিয়ে খেলতে দেব না কাউকে।”
এদিকে সৌরভের অভিযোগ দায়ের ও পরে তা প্রত্যাহার করার ঘোষণা - দুটিই সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছে। অনেকেই মনে করছেন, বিষয়টি হয়তো ব্যক্তিগত সম্পর্কের দ্বন্দ্ব ছিল, যা এখন সমঝোতার দিকে যাচ্ছে। তবে একাংশ এটিকে একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটারকে ‘সেফ প্যাসেজ’ দেওয়ার কৌশল বলেও ব্যাখ্যা করছেন।
তবে সব বিতর্কের মাঝেই সৌরভ স্পষ্ট করেছেন নিজের অবস্থান। “আমি তো কেস করিনি, শুধু একটি অভিযোগ করেছিলাম। চাইলে কেস করতেই পারতাম। আমি বিষয়টি হ্যান্ডেল করছি শুধু বন্ধুর কথা চিন্তা করেই। বিষয়টি আরও খারাপভাবে সামনে আসতে পারত, কিন্তু আমি সেটা হতে দেইনি।”
তবুও নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত সৌরভ বলেছেন, “আমি যেন প্রোটেক্টেড থাকতে পারি, এমন একটা নিশ্চয়তা আমাকে দিতে হবে।” তার বক্তব্য, “আমি তাসকিনের ছোটবেলার বন্ধু। আমি কখনো চাই না সে তার ক্যারিয়ার নিয়ে কোনো ঝামেলায় পড়ুক। সে বাংলাদেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। এটা আমাদের নিজেদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি। আমি চাই না বাইরে মানুষ এসব নিয়ে আলোচনা করুক। কিন্তু বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় আমার সেফটির কথা ভেবেই এমন পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।”
এই ঘটনা প্রমাণ করল, ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা যখন জনপরিসরে চলে আসে, তখন তা শুধু ব্যক্তিগত থাকে না। বিশেষ করে তা যদি হয় একজন জাতীয় তারকার ইমেজ ঘিরে।
আরও পড়ুন: