শিরোনাম
.jpg)
বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন সালাহউদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত।
জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন সাম্প্রতিক সময়ে দলের পারফরম্যান্স ও নিজের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। কলম্বোতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানালেন, দায়িত্ব যেখানেই হোক, সেটিকে সাদরে গ্রহণ করতে প্রস্তুত তিনি।
গত বছরের নভেম্বরে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে যোগ দেন সালাহউদ্দীন। এর কিছুদিন পর ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্পকে সরিয়ে দিয়ে সেই দায়িত্বও তাঁর কাঁধে তুলে দেওয়া হয়। তবে সাম্প্রতিক শ্রীলঙ্কা ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের ব্যর্থতায় ব্যাটিং ইউনিট নিয়ে সমালোচনা জোরালো হয়েছে, উঠে এসেছে নতুন ব্যাটিং কোচ নিয়োগের কথাও।
এ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দীনের স্পষ্ট বক্তব্য, “আমি শুধু জাতীয় দলের কোচ, এমন কোনো ট্যাগ আমার সঙ্গে নেই। আমাকে যদি অনূর্ধ্ব-১৩ দলের কোচও বলা হয়, আমি করব। এসব নিয়ে আমার কোনো অহং নেই, কোনো চিন্তাও নেই। যদি দলের মঙ্গল হয়, নতুন কেউ এলে তাতেও আমি স্বাগত জানাব।”
তবে এই আলোচনা-সমালোচনার মাঝেই কিছু অভিমানও প্রকাশ করেন সালাহউদ্দীন। বলেন, “বাংলাদেশ দল আমার বাপ-দাদার সম্পত্তি না। ভালো না করলে সমালোচনা হবেই, সেটা মেনে নিতে হবে। আমি কেবল নিজের সততা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে ভাবি—দলকে শতভাগ দিচ্ছি কি না, সেটাই আমার কাছে মুখ্য।”
একাদশ গঠনসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্তে তাঁর প্রভাব আছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “আমি ২৭-২৮ বছর ধরে কোচিং করছি। এখন শুনি, নাকি দল নিয়ে আমার প্রভাব আছে। যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারে, আমি শোধরাব। আমি জানি, আমি সৎ। আমি হয়তো সেরা কোচ নই, তবে আমি অসৎ নই।”
জাতীয় দলের আগে বিপিএল ও ঘরোয়া লিগে দারুণ সফল সালাহউদ্দীন জানিয়ে দেন, এই দায়িত্ব না থাকলেও তিনি পিছিয়ে যাবেন না। “জাতীয় দলে না থাকলেও আমার অনেক কিছু করার আছে। আমি ইচ্ছা করে এখানে আসিনি, চাকরি চাইনি। বোর্ড যদি মনে করে আমি উপযুক্ত না, সরিয়ে দিক—আমার কোনো সমস্যা নেই।”
নিজের মাটিতে দাঁড়িয়ে সালাহউদ্দীনের এমন খোলামেলা বক্তব্য যেন বোঝায়, জাতীয় দলের চেয়ে বড় তাঁর কাছে সততা, দায়িত্ববোধ আর ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা।
আরও পড়ুন: