শান্তর লক্ষ্য ছোট ছোট সাফল্য, চোখ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে উন্নতির পথে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ জুন, ২০২৫ ০৩:০৫

শেয়ার

শান্তর লক্ষ্য ছোট ছোট সাফল্য, চোখ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে উন্নতির পথে
সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হোসেন শান্ত - ছবিঃ সংগৃহীত

লর্ডসে যখন আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা, তখন মিরপুরে শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যস্ত ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজরা। এই সফর দিয়েই শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৫-২৭ নতুন চক্র। আগের তিনটি চক্রে ধারাবাহিক উন্নতির ছাপ রেখেছে বাংলাদেশ, এবারও সেই ধারা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়েই পথচলা শুরু করেছে দল। তবে অধিনায়ক শান্ত এখনই চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে না তাকিয়ে এগোতে চান ছোট ছোট ধাপে। তার মতে, “এটা (টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা) তো অনেক বড় স্বপ্ন। এত দূরে যদি এখনই চিন্তা করি, তাহলে বোকামি হবে। ছোট ছোট ভাবে যদি আমরা এগোতে পারি, তাহলে ভালো।”

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবারই দেশ ছেড়েছেন ইবাদত হোসেন চৌধুরী, নাহিদ রানা সহ দলটির ১০ সদস্য, বাকিরা যাবেন শুক্রবার। আগামী ১৭ জুন গলে শুরু হবে প্রথম টেস্ট, দ্বিতীয়টি ২৫ জুন কলম্বোতে। এটি বাংলাদেশের জন্য নতুন চক্রের প্রথম সিরিজ। এরপর আরও পাঁচটি সিরিজ খেলবে তারা, যার কিছু দেশে, কিছু বিদেশে।

সংবাদ সম্মেলনে শান্ত স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১৯ সালে শুরু হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রে বাংলাদেশ কোনো জয় পায়নি। দ্বিতীয় চক্রে একটি জয় নিয়ে তলানিতেই ছিল তারা। তবে সবশেষ চক্রে দৃশ্যমান উন্নতি ঘটে। পাকিস্তানকে তাদের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করে বড় চমক দেয় বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজে জয়, আর ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় নিয়ে তারা ১২ ম্যাচে ৪টি জিতে সপ্তম স্থানে চক্র শেষ করে।

এখন সেই ধারাবাহিক উন্নতিকে ধরে রেখে আরও এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা শান্তর, “আমরা আগের চক্রে ১টি ম্যাচ জিতেছি, পরেরটায় ৪টা। এই চক্রে লক্ষ্য থাকবে কীভাবে ২-৩টা ম্যাচ বেশি জিততে পারি।” তার লক্ষ্য এখন ৪-৫-৬ নম্বরে থাকা, এবং জয়ের হার বাড়িয়ে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ শতাংশে তোলা। ঘরের মাঠে বাজে পারফরম্যান্সকে এবার উন্নতির বড় ক্ষেত্র হিসেবে দেখছেন তিনি। গত চক্রে দেশের মাঠে ৬ ম্যাচে মাত্র একটি জয় ছিল, বিপরীতে বিদেশে ছিল তিনটি। তাই শান্তের জোর, “ঘরের মাঠের ম্যাচগুলো জিততে হবে। ঘরে যদি জিততে পারতাম, তাহলে আরও ২-৩টা ম্যাচ বেশি জেতা যেত।” পরিকল্পনা তাই ঘরের মাঠে ভালো খেলার দিকে। বাইরের মাঠে পাওয়া আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে এবার সবমিলিয়ে উন্নতির পথে এগোতে চায় বাংলাদেশ।