
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আলোচনা চলছে যে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আর চায় না বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে। এই বিষয়ে আগেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল বুধবার রাতে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার সঙ্গে বিসিবি সভাপতির বৈঠকে। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফারুক আহমেদ নিজেই স্বীকার করেন, তাকে আর সমর্থন দিচ্ছে না ক্রীড়া পরিষদ।
তবে তিনি শুরুতে নিজের পদে বহাল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে বিসিবির আটজন পরিচালকের দেওয়া অনাস্থার চিঠি গণমাধ্যমে ফাঁস হলে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ফারুক আহমেদকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
ফারুক আহমেদ ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে বিসিবির কাউন্সিলর হয়েছিলেন এবং পরে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন। ফলে মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় তিনি পরিচালক পদের পাশাপাশি বিসিবি সভাপতির পদও হারান। তবে এখানেই থেমে থাকেননি ফারুক।
তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)কে অবহিত করেছেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রত্যাশা করছেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহর সেক্রেটারির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং আইসিসির অন্তত ৫-৭ জন পরিচালককেও বিষয়টি জানিয়েছেন।
জাগো নিউজকে দেওয়া বক্তব্যে ফারুক বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ ছাড়া বিদায় নেব না। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাব। আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। আমি আইসিসিকে বিস্তারিত জানিয়েছি। আমার বিশ্বাস, তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। আশা করছি, এক-দুই দিনের মধ্যেই বিসিবির কাছে আইসিসির চিঠি পৌঁছাবে।’