শিরোনাম
.jpg)
বায়ার্নের ইংলিশ ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইনের উদযাপন। ছবি: সংগৃহীত।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ইউরোপের মঞ্চে চেলসির কোচ এন্টসো মারেস্কা নিজ চোখে অবিশ্বাসের সঙ্গে দেখলেন কীভাবে বায়ার্ন মিউনিখ একের পর এক সহজ গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জার্মান চ্যাম্পিয়নরা তাদের ঘরের মাঠে চেলসির বিরুদ্ধে ৩-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করল, যা বায়ার্নের কৌশল এবং চেলসির শিশুসুলভ ভুলের সরাসরি ফলাফল।
ম্যাচের শুরুতেই চেলসি আত্মঘাতী গোল করে নিজেদের অগোচরে প্রতিপক্ষকে এগিয়ে দেয়। পরে হ্যারি কেইনের সফল স্পট কিক ব্যবধান দ্বিগুণ করে বায়ার্নকে আরও এগিয়ে নেন। চেলসির একমাত্র সান্ত্বনা আসে কোলে পালমারের গোলে, যিনি দ্রুতগতিতে মিডফিল্ড থেকে ডি-বক্সে বল এগিয়ে গোল করেন এবং ব্যবধান কমান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চেলসির রক্ষণ ব্যবস্থা আরও একবার ব্যর্থ হয়। ডান দিক থেকে মাইকেল ওলিসের ক্রসে চেলসির উপামেকানো চাপের মুখে নিজের জালে বল পাঠিয়ে দেন ট্রেভো শ্যালাবা। এর সঙ্গে সঙ্গে ২৭তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে হ্যারি কেইনের আরেকটি গোল বায়ার্নকে আরও এগিয়ে নেয়।
মাঝমাঠ থেকে চেলসির পালমারের শটের মাধ্যমে ব্যবধান কমানো সম্ভব হয়, কিন্তু পুরো ম্যাচে চেলসির আক্রমণ কার্যকর হয় না। ৫৭তম মিনিটে হ্যারি কেইনের শট থামান চেলসির গোলরক্ষক রবের্ত সানচেস। মাত্র তিন মিনিট পর পেনাল্টি থেকে ওলিসের শটও তিনি রিফ্লেক্সে প্রতিহত করেন।
কিন্তু ৬৩তম মিনিটে চেলসির ব্যাক পাসে অসাবধানতা কাজে লাগিয়ে হ্যারি কেইন ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠান। এই গোল নিশ্চিত করে বায়ার্নের জয়। ৮৭তম মিনিটে পালমারের শট অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। বাকি সময়ে চেলসির চেষ্টা ব্যর্থ হয়, কারণ বায়ার্নের রক্ষণ কঠোরভাবে বল আঁকড়ে রাখে।
আরও পড়ুন: