চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে বিতর্কিত হারের পর হ্যান্সি ফ্লিকের এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উয়েফার কাছে সরাসরি কারণ জানতে চেয়েছে বার্সেলোনা। ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা গত মে মাসে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে সান সিরোতে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনাল ম্যাচে ফ্লিকের আচরণকে “সাধারণ নীতিমালা ভঙ্গ” এবং “শালীন আচরণের নিয়ম লঙ্ঘন” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
উয়েফার শৃঙ্খলা কমিটি তাদের বিজ্ঞপ্তিতে শাস্তি ও জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও, অভিযোগের সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি। ফ্লিকের সহকারী মার্কুস জর্গ একইসঙ্গে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা ও অর্থদণ্ড পেয়েছেন। এর ফলে দুজনই মৌসুমের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচে বেঞ্চে থাকতে পারবেন না।
কাতালান ক্লাবটির ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, উয়েফার পক্ষ থেকে বিস্তারিত কারণ শোনার পরই আপিলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বার্সেলোনা। স্থানীয় গণমাধ্যম এর দাবি, উয়েফা যদি পর্যাপ্ত যুক্তি হাজির করতে না পারে, তাহলে ক্লাবটি আপিলের পথ বেছে নেবে।
সান সিরোর সেই ম্যাচে রেফারি শিমন মারসিনিয়াকের একাধিক সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ছিলেন ফ্লিক। ম্যাচ চলাকালীন তাকে মাঠছাড়া করা হয়নি, তবে শেষ মুহূর্তে নিজের বেঞ্চে আঘাত করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে জার্মান এই কোচ প্রকাশ্যে রেফারির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন।
শুধু কোচিং স্টাফ নয়, বার্সেলোনার খেলোয়াড়রাও উয়েফার শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন। অ্যান্টি-ডোপিং কর্মকর্তার নির্দেশ উপেক্ষা করে সরাসরি নিয়ন্ত্রণকক্ষে না যাওয়ায় লামিন ইয়ামাল ও রবার্ট লেভানডভস্কিকে ৫ হাজার ইউরো করে জরিমানা গুনতে হয়েছে। এছাড়া দর্শকদের বস্তু নিক্ষেপের ঘটনায় ক্লাবকে ৫,২৫০ ইউরো এবং আতশবাজি ফোটানোর জন্য ২,৫০০ ইউরো জরিমানা দিয়েছে উয়েফা।
অন্যদিকে, ইন্টার মিলানকে গ্যালারিতে পথরোধের জন্য ২২ হাজার ইউরো ও আতশবাজির ঘটনায় ১১,৫০০ ইউরো জরিমানা গুনতে হয়েছে।
এখন নজর উয়েফার আনুষ্ঠানিক জবাবে। যদি কারণগুলো বার্সেলোনার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, তারা সম্ভবত শাস্তি মেনে নেবে। তবে যুক্তি দুর্বল মনে হলে, কাতালান জায়ান্টরা আপিলের পথে হাঁটতে প্রস্তুত।