ইউরোপিয়ান ফুটবলের মঞ্চে আবারও শাস্তির খড়গ নেমেছে বার্সেলোনার কোচিং স্টাফের উপর। চ্যাম্পিয়নস লিগের আসন্ন মৌসুমের প্রথম ম্যাচে থাকছেন না দলের প্রধান কোচ হ্যান্সি ফ্লিক ও তার সহকারী মার্কাস জর্গ। উয়েফার শৃঙ্খলাবিষয়ক কমিটি শুক্রবার জানায়, ম্যাচ কর্মকর্তাদের প্রতি অসদাচরণের দায়ে দুজনকেই এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ ও ২০ হাজার ইউরো (২৩,৩২০ ডলার) করে জরিমানা করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত মে মাসে, ইন্টার মিলানের বিপক্ষে উত্তেজনাপূর্ণ সেমিফাইনাল ম্যাচে। ৪-৩ গোলের সেই হার বার্সেলোনাকে এক দশক পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠা থেকে বঞ্চিত করে। ম্যাচজুড়ে একাধিক রেফারিং সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান ফ্লিক, যা শেষ পর্যন্ত শাস্তির কারণ হয়।
এই নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর হচ্ছে, অর্থাৎ আসন্ন মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে দুজনই ডাগআউটে থাকতে পারবেন না।
একই ঘটনায়, উয়েফা বার্সেলোনার দুই ফরোয়ার্ড লামিন ইয়ামাল ও রবার্ট লেভানদোভস্কিকে ৫ হাজার ইউরো করে জরিমানা করেছে। কারণ, অ্যান্টি-ডোপিং কর্মকর্তার নির্দেশ মেনে তারা সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে রিপোর্ট করেননি।
শৃঙ্খলাজনিত আরও কয়েকটি অভিযোগে বার্সেলোনাকে ৫,২৫০ ইউরো জরিমানা করা হয়েছে দর্শকসারিতে বসে বস্তু নিক্ষেপের জন্য এবং ২,৫০০ ইউরো জরিমানা হয়েছে আতশবাজি ব্যবহারের ঘটনায়। অপরদিকে, ইন্টার মিলানকে ২২ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়েছে সমর্থকদের দ্বারা পথ অবরোধের জন্য এবং আরও ১১,৫০০ ইউরো জরিমানা হয়েছে আতশবাজি জ্বালানোর দায়ে।
বার্সেলোনা নতুন মৌসুমের শুরুতে মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি মাঠের বাইরের এই শাস্তির ধাক্কা সামলানোর চ্যালেঞ্জেও পড়ল। দলটির জন্য এটি শুধু শুরুর ম্যাচের কৌশলগত পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনার বিষয় নয়, বরং শৃঙ্খলাবিষয়ক বার্তাও বয়ে আনবে যা কোচিং স্টাফ ও খেলোয়াড়দের আচরণে প্রভাব ফেলতে পারে।